প্রবাদ
সমগ্র
বিভিন্ন বই, পত্রিকা, ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত
প্রবাদসমূহ
================================
================================
অ
- অই ছেরা তোর ডাটেঁর কথা- তোর মায় ফিনছে খাইল্যা পাতা।
- অকাজে বউড়ী দড়,লাউ কুটতে খরতর।
- অকাল গেল সুকাল এল, পাকল কাঁটাল কোষ, আজ বন্ধু ছেড়ে যাও, দিয়ে আমার দোষ।
- অকালে খেয়েছ কচু,মনে রেখ কিছু কিছু।
- অকালে না নোয় বাঁশ,বাঁশ করে ট্যাঁশ ট্যাঁশ।
- অকালে(আকালে) কি না খায়।
- অকালের তাল বড় মিষ্টি।
- অকেজো নাপিতের বোঝা ভরা খুর।
- অকেজো বউ লাউ কুটতে দড়।
- অকেজোর তিন কাজ বড়,ভোজন ক্রোধ নিদ্রা দড়।
- অগ্নি ব্যাধি ঋণ,তিনের রেখো না চিন(চিহ্ন)।
- অঘটির(আদেখলের) ঘটি হল,জল খেতে খেতে প্রাণটা গেল।
- অঙ্গারঃ শতধৌতেন মলিনত্বং ন মুঞ্চতি।
- অজগরের দাতা রাম(অজগর আহার সংগ্রহে অলস)।
- অজ্ঞানে করে পাপ,জ্ঞান হলে সরে, সজ্ঞানে করে পাপ,সঙ্গে সঙ্গে ফেরে।
- অজাযুদ্ধে ঋষিশ্রাদ্ধে প্রভাতে মেঘডম্বরে দম্পত্যোঃ কলহে চৈব বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া।
- অজার যুদ্ধে আঁটুনি সার।
- অজীর্ণে ভোজনং বিষম্।
- অতি আশ সর্বনাশ।
- অতি চালাকের গলায় দড়ি অতি বোকার পায়ে বেড়ি।
- অতি প্রণয় যেখানে, নিত্য যাবে না সেখানে;যদি যাবে নিত্যি;ঘটবে একটা কীর্তি।
- অতি বড় ঘরণী না পায় ঘর; অতি বড় সুন্দরী না পায় বর।
- অতি বড় সোদর, তিন দিন করবে আদর।
- অতি বুদ্ধির গলায়(বা হাতে)দড়ি,অতি বোকার পায়ে বেড়ি।
- অতি বুদ্ধির হা-ভাত। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।
- অতি বাড় বেড়ো নাকো ঝড়ে ভেঙে যাবে;অতি ছোট হয়ো নাকো ছাগলে মুড়াবে।
- অতি মন্থনে বিষ ওঠে।
- অতি মেঘে অনাবৃষ্টি।
- অতি লোভে তাঁতি নষ্ট।
- অতিদর্পে হতা লঙ্কা। অতিদানে বলির পাতালে হইল ঠাঁই।
- অদন্তের দাঁত হল, কামড় খেতে প্রাণটা গেল।
- অদন্তের হাসি, দেখতে(বড়) ভালবাসি।
- অদৃষ্টে করলা ভাতে, বীচি কচ কচ করে তাতে,পড়ল বীচি বুড়োর পাতে। অদৃষ্টের (কপালের) কিল পুতেও(পুত--ছেলে) কিলোয়।
- অদৃষ্টের ফল, কে খণ্ডাবে বল?
- অধিক (অনেক)সন্যাসীতে গাজন নষ্ট।
- অধিক খেতে করে আশা,তার নাম বুদ্ধি নাশা।
- অধিকং তু ন দোষায়।
- অনটনের দুনো ব্যয়।
- অন্তরে এত খলতা, মুখে তোর অতি শীলতা, অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।__দাশু রায়।
- অন্ধ জাগো, না, কিবা রাত্রি কিবা দিন।
- অন্ধকারে ঢেলা মারা বা ঢিল ছোঁড়া।
- অন্ধকারে লাউ কোটা।
- অন্ধের কিবা রাত কিবা দিন।
- অন্ধের নড়ি, কৃপণের কড়ি।
- অন্ন দেখে দেবে ঘি, পাত্র দেখে দেবে ঝি।
- অন্ন নাই যার ঘরে,তার মানে কি বা করে।
- অন্ন বল নেই,অগ্নিবল আছে।
- অন্ন বিনা চর্ম দড়ি,তৈল বিনা গায়ে খড়ি।
- অন্নচিন্তা চমৎকারা কাতরে কবিতা কুতঃ।
- অন্নচিন্তা চমৎকারা কালিদাস হয় বুদ্ধিহারা।
- অন্নচিন্তা চমৎকারা, ঘরে ভাত নাই জীয়ন্তে মরা।
- অন্নের জ্বালা বড় জ্বালা এক দিনে লাগে তালা।
- অনভ্যাসের ফোঁটা কপালে চড়চড় করে।
- অনাথের দৈব সখা।
- অনাবৃষ্টে রাজ্য মজে,পাপে মজে ধর্ম;কোটালে গৃহস্থ মজে,আলস্যে মজে কর্ম। অনেক কালের ছি পাপ,ছেলে হল সতীনের বাপ।
- অনাহ্বানের নিমন্ত্রণ, না আঁচালে বিশ্বাস নেই।
- অনেক খাবে তো অল্প খাও,অল্পখাবে তো অনেক খাও।
- অনেক গর্জনে ফোঁটা বৃষ্টি।
- অনেক সন্যাসীতে গাজন নষ্ট।
- অনেক হল পাপ, এবার ছাড়ো বাপ।
- অনেক(অগাধ) জলের মাছ।
- অপব্যয়ে লক্ষ্মী ছাড়ে।
- অবংশো পতিতো রাজা মূর্খ পুত্রশ্চ পণ্ডিতঃ, অধনশ্চ ধনং প্রাপ্য তৃণবন্মন্যতে জগৎ।
- অবুঝে বুঝাব কত,বুঝ নাহি মানে;ঢেঁকিরে বুঝাব কত,নিত্য ধান ভানে। অবোধারে মারে বোধায়,বোধারে মারে খোদায়।
- অব্রাহ্মণের দীর্ঘ ফোঁটা।
- অবলার মুখে বল।
- অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।
- অবাক্ ক‘ল্লে নাকের নথে,কাজ কি আমার কানবালাতে।
- অবাক কল্লি ভবি(রাধা),অম্বলে দিলি আদা।
- অবাক্ কলির অবতার,ছুঁচোর গলায় চন্ত্রহার।
- অবোধের(পাগলের) গোবধে আনন্দ[গো বধ মহাপাপ]।
- অবোলা বলে দড়, অফলা ফলে দড়।
- অভদ্রা বরষা কাল,হরিণী চাটে বাঘের গাল।
- অভ্যাস দোষ না ছাড়ে চোরে, শূন্য ভিটায় মাটি খোঁড়ে।
- অভ্যাসে সয়, অনভ্যাসে নয়।
- অভাগা চোর যে বাড়ি যায়, হয় কুকুর ডাকে নয় রাত পোহায়।
- অভাগা যদ্যপি(যেদিকে) চায়, সাগর শুকায়ে যায়।
- অভাগার ঘোড়া মরে, ভাগ্যবানের বউ মরে।
- অভাগার নাই যম, বা অভাগার যমও নাই।
- অভাগিনীর দুটো(দুই)পুত, একটা দানা একটা ভূত।
- অভাবে স্বভাব নষ্ট।
- অভাবে স্বভাব নষ্ট মুখ নষ্ট বরণে(ব্রণে),ঝরায় ক্ষেত নষ্ট স্ত্রী নষ্ট মারণে(মারধর) করলে।
- অমাবস্যার প্রদীপ টিপ টিপ করে।
- অমুকের পোলায় এস পি হইছে- তয় পাওয়ার কম।
- অমৃত-বা কি পদার্থ, খেয়ে দেখি জল।
- অমৃতং বালভাষিতম্।
- অর্থই অনর্থের মূলে।
- অরসিকেষু রসস্য নিবেদনম্।
- অরাধুনীর হাতে পড়ে রুই মাছ কাঁদে, না জানি রাধুনী মোর কেমন করে রাঁধে। অরুচির অম্বল শীতের কম্বল বর্ষার ছাতি ভট্চায্যির পাঁতি(পুথি)।
- অলক্ষীর নিদ্রা বেশি, কাঙালের ক্ষুধা বেশি।
- অলকা তিলকা(=অঙ্গরাগ) সার। অলক্ষীর দ্বিগুণ ক্ষিদে।
- অল্প জলের পুঁটি মাছ ফর ফর করে।
- অল্প বৃষ্টিতে কাদা হয়,বেশি বৃষ্টিতে সাদা হয়।
- অল্প শোকে কাতর,অধিক শোকে পাথর।
- অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী।
- অলাভের বাণিজ্যে কচকচি সার।
- অশথের ছায়াই ছায়া,মায়ের মায়াই মায়া।
- অশ্বত্থামা হত ইতি গজ।
- অস্থানে তুলসী,অপাত্রে রূপসী।
- অসারে জল সার।
- অসারের তর্জনগর্জন সার।
- অহংকারে গদগদ ভূমিতে না পড়ে পদ।
আ
- আ-লো সোনাভানের মা- কথার পুটুলি জান, কাম জাননা।
- আউলে বাঘ জালে পড়ে (আউলে=অস্থির)।
- আকাইম্যা মাইনষ্যের কথা বেশি।
- আকালে কিনা খায়;পাগলে কিনা কয়।
- আকামের মাঝু, কদু কুটনের যম।
- আকাঙ্ক্ষার সীমা নাই।
- আকাশ পাতাল তফাত।
- আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া।
- আকাশে থুতু ফেললে নিজের গায়ে পড়ে।
- আকাশে ফাঁদ পেতে চাঁদ ধরা।
- আগ নাংলা (নাঙ্গলে) যেদিকে যায়,পাছ নাংলা (নাঙ্গলে) সেদিকে ধায়।
- আগুন চাপা থাকবার নয়।
- আগুন নিয়ে খেলা।
- আগুন পোহাতে গেলে ধোঁয়া সইতে হয়।
- আগুনের কাছে ঘি। আগু লাথ,পিছু বাত।
- আগাছার বড় বাড়।
- আগাছে ফল বেশি।
- আগে আপন সামাল কর,শেষে পরকে গিয়ে ধর।
- আগে গেলে বাঘে খায়।
- আগে গেলে বাঘে খায়, পাছে গেলে সোনা পায়।
- আগে গেলেও নির্বংশের ব্যাটা,পিছে গেলেও নির্বংশের ব্যাটা।
- আগে তিতা, শেষে মিঠা।
- আগে দর্শনধারী পরে গুণ বিচারি।
- আগে দুঃখ পরে সুখ।
- আগে দর্শনধারী পিছে গুণ বিচারি।
- আগে দেও কড়ি পিছে দিব বড়ি।
- আগে দেখ, পরে লও, শেষে দাও কড়ি।
- আগে না বুঝিলে বাছা যৌবনের ভরে,পশ্চাতে কাঁদিতে হবে নয়নের ঝোরে।
- আগে ভাল ছিল জেলে জালদড়া বুনে, কি কাজ করিল জেলে এঁড়ে গরু কিনে।
- আচরো বিনয়ো বিদ্যা প্রতিষ্ঠা তীর্থদর্শনম্; নিষ্ঠা বৃত্তিস্তপো দানং নবধা কুললক্ষণম্। সদাচার, বিনয়, বিদ্যা, খ্যাতি, তীর্থদর্শন, শাস্ত্রানুমোদিত ধর্মে আসক্তি, ব্রাহ্মণোচিত বৃত্তি(অর্থাৎ বেদাধ্যয়ন প্রভৃতি), তপস্যা এবং দান__ এই নয়টি কুলীনের লক্ষণ।
- আচারে বাড়া, বিচারে এড়া।
- আছাড় খালি ক্যা?- রাস্তা আগাইলাম।
- আজ আমীর, কাল ফকির।
- আজ মরলে কাল দু‘দিন হবে।
- আঁটুনি কসুনি সার।
- আঁটাআঁটি হইলেই লাঠালাঠি।
- আটে-পিটে দড়, তবে ঘোড়ার উপর চড়।
- আড়াই আঙ্গুল দড়ি,সৃষ্টি জুড়ে বেড়ি।
- আড়াই কড়ার কাসুন্দি, হাজার কাকের গোল।
- আঁত পাওয়া ভার।
- আত্ম রেখে ধর্ম,তবে পিতৃ কর্ম।
- আত্মবন্মন্যতে জগৎ।
- আত্মানং সতত রক্ষেৎ[আপদার্থে ধনং রক্ষেৎ দারান্ রক্ষেদ্ধনৈরপি;আত্মানং সতত রক্ষেৎ দারৈরপি ধনৈরপি]। আতুরে নিয়মো নাস্তি।
- আতি চোর,পাতি চোর,হ‘তে হ‘তে সিঁদেল চোর।
- আদ্যিকাণ্ডের কথা, বললে পাবে ব্যথা।
- আদ্যিকালের বদ্যি বুড়ো।
- আদরে ভোজন কি করে ব্যঞ্জন।
- নুন আনতে পান্তা ফুরায়।
- আদা শুকালেও ঝাল যায় না।
- আদা, ওষুধের আধা।
- আদা জল খেয়ে লাগা।
- আদার ব্যাপারি জাহাজের খবর ।
- আদাড় গাঁয়ে শিয়াল রাজা।
- আদায় কাঁচকলায় সম্বন্ধ।
- আদার ব্যাপারি, জাহাজের খবরে কাজ কি।
- আদি কহিলে মানুষ রুষ্ট।
- আন্ কাপাস নে তুলো।
- আন্ শুনতে কান।
- আন সতীনে নাড়ে চাড়ে,বোন সতীনে পুড়িয়ে মারে।
- আনারস বলে কাঁঠাল ভাই তুমি বড় খসখসে।
- আপ ভালা তো জগৎ ভালা।
- আপ রুচি খানা, পর রুচি পরনা।
- আপন কোটে পাই চিঁড়ে কুটে খাই।
- আপন কোলে ঝোল সবাই টানে।
- আপন গাঁয়ে কুকুর রাজা
- আপন গাঁয়ে শিয়াল রাজা।
- আপন ঘরে সবাই রাজা।
- আপন চরকায় তেল দাও।
- আপন চেয়ে পর ভাল,পর চেয়ে জঙ্গল ভাল।
- আপন ছিদ্র জানে না, পরের ছিদ্র খোঁজে।
- আপন পাঁজি পরকে দিয়ে, দৈবজ্ঞ বেড়ায় পথে পথে।
- আপন পাঁঠা লেজে কাটি।
- আপন বুদ্ধি ছিল ভাল,পর বুদ্ধিতে পাগল হল।
- আপন বুদ্ধিতে তর, পরের বুদ্ধিতে মর।
- আপন বুদ্ধিতে ফকির হই, পর বুদ্ধিতে বাদশা নই।
- আপন বুদ্ধিতে ভাত, পরের বুদ্ধিতে হাভাত।
- আপন বেলা চাপন চোপন,পরের বেলা ঝুরঝুরে মাপন।
- আপন বোন ভাত পায় না,শালীর তরে মণ্ডা।
- আপন ভালাতো জগত ভালা ।
- আপন ভালো পাগলেও বোঝে।
- আপন হাত জগন্নাথ, পরের হাত এঁটো পাত।
- আপন(আপনার) ঘোল কেউ টক বলে না।
- আপন(আপনার) মান আপনি রাখ,কাটা কান চুল দিয়ে ঢাক।
- আপন(আপনারা/নিজের) নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ।
- আপন(নিজের) বেলায় আঁটিসাটি পরের বেলায় দাঁত কপাটি।
- অপনা মাংসেঁ হরিণা বৈরি।
- আপনা মাংসে হরিনা বৈরি। - হরিনের শত্রু তার মাংশ।
- আপনার আপনি,ডোর আর কপনি।
- আপনার কিছু নয়, জগৎ কেবল মায়াময়।
- আপনার চেয়ে পর ভাল, পরের চেয়ে জংগল ভাল ।
- আপনার ছেলটি খায় এতটি, বেড়ায় যেন লাটিমটি, পরের ছেলেটা খায় এতটা,বেড়ায় যেন বাঁদরটা।
- আপনার ধন পরকে দিয়ে,দৈবকী মরে মাথায় হাত দিয়ে[দৈবকী=শ্রীকৃষ্ণের জননী]।
- আপনার নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা।
- আপনার পায়ে আপনি কুড়ুল মারা।
- আপনার বেলায় ছ‘ কড়ায় গণ্ডা,পরের বেলায় তিন গণ্ডা। আপনার মতো জগৎ দেখা।
- আপনার(নিজের) পায়ে কুড়ুল মারা।
- আপনারটা ষোল আনা,পরেরটা কিছু না।
- আপনি খেতে ভাত পায় না শংকরারে ডাক।
- আপনি গেলে ঘোল পায় না, চাকরকে পাঠায় দুধের তরে।
- আপনি ঠাকুর ভাত পায় না,শংকরাকে ডাকে।
- আপনি পায় না, পরকে বিলায়।
- আপনি বড় ভাল, তাই লোককে বলে কালো।
- আপনি বাঁচলে বাপের নাম।
- আপনি শুতে জায়গা পায় না, শংকরাকে ডাক।
- আবর তাঁতি গোবর খায়,স্ত্রীর বাক্যে মরতে যায়।
- আম না থাকলে আমড়া চোষে।
- আম না পেয়ে আঁটি চোষা।
- আম না হতে আমসত্ত্ব।
- আম শুকোলে আমসি,বয়স গেলে কাঁদতে বসি।
- আমড়া কাঠের ঢেকি।
- আমড়াতলায় আম পেলে, আমতলায় কেবা যায়।
- আমার আমার যত কর,চিনির বলদ হয়ে মর।
- আমার কথা শোন্, ঘরদোর ভেঙে ফেলে নটে শাক বোন।
- আমার নাম নিতাই, এক খাই এক থিতাই।
- আমি কই কি! আমার সারেন্দা বাজায় কি!
- আমি করি ভাই ভাই, দাদার কিন্তু মনে নাই।
- আমি কি নাচতে জানি নে, মাজার ব্যথায় পারিনে।
- আমি ছাড়তে চাইলে কি হইব- কম্বল তো আমারে ছাড়ে না।
- আমিও ফকির হলেম, দেশেও আকাল এল।
- আমিও রারি(বিধবা) হইলাম- রঙ বিরঙ্গের শাড়িও বাইর হইল।
- আমে দুধে এক হয়,আদাড়ের আঁটি আদাড়ে যায়।
- আমে বান,তেঁতুলে ধান।
- আয় বুঝে ব্যয়।
- আর কি নেড়া বেলতলা যায়?
- আর গাব খাব না, গাবতলা দিয়ে যাব না,গাব খাব না-- খাব কি গাবের তুল্য আছে কি?
- আরগুণ নেই ছাড়গুণ আছে।
- আর রাজ্যে বামুন নেই,কাশী ঠাকুর চিঁড়ে খাও।
- আরশোলা আবার পাখি।
- আরশোলাও পাখি, আছে আর কি দেখতে বাকি।
- আলস্য হেন ধন থাকতে দুঃখের অভাব কি?
- আশা আর ফুঁ আছে, দুধ আর বাটি নেই।
- আশা আর বাসা ছোট করতে নেই।
- আশা আর বাসা ছোট করে মরে চাষা।
- আশা আশা পরম দুখ,নিরাশাই পরম সুখ।
- আশা বৈতরণী নদী।
- আশায় আমার পড়ল ছাই,এখন বল কোথায় যাই?
- আশায় খেলিছে পাশা।
- আশায় বাঁচে চাষা।
- আশায় মরে চাষা।
- আশার চেয়ে নিরাশা ভাল, হয়ে গেল তো হয়ে গেল।
- আশার আর শেষ নাই।
- আষাঢ়ে না হলে সূত,হা সূত যো সূত, ষোলতে না হলে পুত, হা পুত যো পুত।
- আষাঢ়ে পান চাষাড়ে খায়,গুয়া বনে পান গড়াগড়ি যায়।
- আসতেও একা যেতেও একা,কার সঙ্গে বা কার দেখা।
- আসর ঘরে মশাল নেই, ঢেঁকিশালে চাঁদোয়া।
- আসলের খোঁজ নেই, সুদের খবর। আসেন লক্ষ্মী যান বালাই।
- আহ্লাদে আটখানা, ল্যাজা মুড়ো দশখানা।
ই
- ইঙ্গিতে বুঝলে মন কাজ হতে কতক্ষণ।
- ইচ্ছা থাকে যার উপায় হয় তার।
- ইজ্জতের দাম লাখ টাকা।
- ইটটি মারলেই পাটকেলটি খেতে হয়।
- ইতো ভ্রষ্টস্ততো নষ্টঃ ন পূর্ব ন পর।
- ইঁদুর গর্ত খুঁড়ে মরে,সাপ এসে দখল করে।
- ইন্দ্রের শচী(যখনি যাহার, তখনি তাহার)।
- ইল্লৎ যায় না ধুলে,স্বভাব যায় না মলে।
- ইস্তক জুতো সেলাই, নাগাদ চণ্ডী পাঠ।
ঈ
- ঈদের চাঁদ।
- ঈশ্বর ঈশ্বর করে যেই, তার ঘরে ভাত নেই।
- ঈশ্বর মঙ্গলময়।
- ঈশ্বর যদি করেন, কর্তা যদি মরেন,তবে ঘরে বসে কেত্তন শুনবো।
- ঈশ্বর যা করেন মঙ্গলের জন্য।
- ঈশ্বরে করে কাম মানুষের বদনাম।
- ঈশান কোণের মেঘে ঝড় ওঠে বেগে(উত্তর ও পুব দিকের মাঝে
- ঈশানকোণ, )।
উ
- উই ইন্দুর কুজন,ভাল ভাঙ্গে তিনজন;ছুচ সোহাগা সুজন,ভাল করে তিন জন।
- উঁচান বাড়ি বড় ভয়,পড়লে বাড়ি সয়ে যায়।
- উচিত কথা কইতে গেলে, তেলে বেগুনে ওঠে জ্বলে।
- উচিত কথার ভাত নাই।
- উচিত কথায় দেবতা তুষ্ট,উচিত কথায় মানুষ রুষ্ট।
- উচিত কথায় বন্ধু বেজার, গরম ভাতে বিলাই বেজার।
- উচিত কথায় বন্ধুও বিগড়ায়।
- উঁচু হবে তো নিচু হও।
- উচোট খেয়ে প্রণাম।
- উজাড় বনে শিয়াল রাজা।
- উঠন্ত বৃক্ষ পত্তনেই চেনা যায়।
- উঠতি মুলো পত্তনে চেনা যায়।
- উঠল বাই তো কটক যাই।
- উড়তে না পেরে পোষ মানা।
- উড়তে পারে না ফুরফুর করে।
- উড়ে এসে জুড়ে বসা।
- উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ।
- উদ খেতে খুদ নেই, নেউলে বাজায় শিঙে।
- উদুখলে খুদ নাই চাটগাঁয় বরাত।
- উদ্যমেন হি সিদ্ধ্যন্তি কার্যাণি ন মনোরথৈঃ;নহি সুপ্তস্য সিংহস্য প্রবিশন্তি মুখে মৃগাঃ।
- উদ্যোগিনং পুরুষসিংহমুপৈতি লক্ষ্মীঃ।
- উদারচরিতানাং তু বসুধৈব কুটুম্বকম্।
- উদে মাছ ধরে,খটাশে তিন ভাগ করে।
- উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে।
- উপদেশো হি মূর্খানাং প্রকোপায় না শান্তয়ে।
- উপোসে যাবে দিন,ধার করলে হবে ঋণ।
- উপকারী গাছের ছাল থাকে না।
- উপর থেকে পড়ে গেল জনপাঁচ সাত,যার যেখানে ব্যথা তার সেখানে হাত[যার যেখানে স্বার্থ]।
- উপরে বাবুয়ানা ভিতরে খড়ের বেনা।
- উপরোধে ঢেঁকি গেলা।
- উপায়ং চিন্তয়ন্ প্রাজ্ঞস্ত্বপায়মপি চিন্তয়েৎ[উপায়ং চিন্তয়েৎ প্রাজ্ঞঃ অপায়মপি চিন্তয়েৎ]।
- উপোস করলে যাবে দিন, ধার করলে হবে ঋণ।
- উপোসের কেউ নয়, পারণার গোঁসাই(উপোস ভাঙার পারণের সময় ভাল খাদ্য খেতে হাজির)।
- উল্টা বুঝলি রাম।
- উল্টে চোরা মশান গায়(চোর উলটে উপদেশ দেয়)।
- উলুবনে মুক্তো ছড়ানো।
ঊ
- ঊনপাঁজুরে বরাখুরে (লক্ষ্মীছাড়া)।
- ঊনো বর্ষা দুনো শীত।
- ঊনোভাতে দুনো বল, অতি ভাতে রসাতল।
ঋ
- ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ।
- ঋণকর্তা পিতা শত্রু। [ঋণকর্তা পিতা শত্রুর্মাতা চ ব্যভিচারিণী;ভার্যা রূপবতী শত্রুঃ পুত্র শত্রুরপণ্ডিতঃ।(অপণ্ডিত)]।
এ
- এ কূল ও কূল দুকূল গেল।
- এ কি বিধির লীলা খেলা,কাকের গলায় তুলসিমালা।
- এই ডুমুরের গুমোর কর,পাকলে ডুমুর পড়ে মর।
- এই ফুরালে খাবে কি,ঘরে তো নেই(বা আছে)আইবুড়ো ঝি(কন্যার বিয়েতে টাকা দাবির ইঙ্গিত)।
- এই দোষ না হেই দোষ- মাগী তুই ঘুইরা শোছ।
- এই বএই লা নাও ঘর ছেয়ে,আকাশে মেঘ দেখ চেয়ে।
- এই বিড়াল বনে গেলে বনবিড়াল(বাঘ)হয়।
- এই যদি গোরাচাঁদ তবে কালাচাঁদ কেমন।
- এক আঙুলে তুড়ি লাগে না।
- এক আঁচড়ে চেনা যায়।
- এক কড়ার মুরোদ নেই, ভাত মারবার গোঁসাই।
- এক করতে আর হয়।
- এক কলসি জল তুলে কাঁকালে দিলে হাত,এই মুখে খাবে তুমি বাগদিনীর ভাত। এক কাটে ভারে আর এক কাটে ধারে।
- এক ক্ষুরে মাথা কামানো।
- এক কাঠি বাজে না।
- এক কান কাটা শহরের বার দে যায়,দু‘কান কাটা শহরের ভিতর দে যায়।
- এক কানে শোনে অন্য কানে বেরোয়।
- এক কাল ঠেকেছে তিনকাল গিয়ে, তবু আবার করবে বিয়ে?
- এক কেঁড়ে দুধে এক ছিটে চোনা।
- এক খায়,এক থিতায়।
- এক ঢিলে দুই পাখি মারা।
- এক গাছের ছাল অন্য গাছে জোড়া লাগে না।
- এক গাঁয়ে ঢেঁকি পড়ে,আর গাঁয়ে মাথা ব্যাথা।
- এক গাঁয়ের কুকুর আর গাঁয়ের ঠাকুর।
- এক গালে চুন, এক গালে কালি।
- এক গোয়ালে বিয়াইছে গাই- সেই রিস্তায় খালাতো ভাই।
- একশ্চন্দ্রস্তমো হন্তি ন চ তারাগণা অপি।
- এক চাঁদে জগৎ আলো।
- এক চোখে কাঁদা, অন্য চোখে হাসা।
- এক ছেলে তার ফুলের শয্যে,পাঁচ ছেলে তার কাঁটার শয্যে।
- এক ছেলের মা, ভয়ে কাঁপে গা। [জনসংখ্যা বাড়ুক সেই ইঙ্গিতও]
- এক জায়গায় খাল কেটে আরেক জায়গায় খাল ভরায়।
- এক জায়গায় থাকলে হাঁড়িতে হাঁড়িতে ঠোকাঠুকি হয়।
- এক ঝিকরে মাছ বেঁধে না সে-ই বা কেমন বড়শি,এক ডাকেতে সাড়া দেয় না সে-ই বা কেমন পড়শি।
- এক ঢিলে দুই পাখি।
- এক দোর বন্ধ হাজার দোর খোলা।
- এক পুতের আশ নদীকূলে বাস।
- এক পয়সা নাই থলিতে,লাফিয়ে বেড়ায় তবু গলিতে।
- এক পা জলে, এক পা স্থলে।
- এক পাগলে রক্ষা নেই সাত পাগলের মেলা।
- এক পাঁঠা তিন বারে কাটা।
- এক পোলা যার- হাজার নান্নত তার।
- এক বুড়ির নানা দোষ,নাকের উপরে হল খোস।
- এক ব্যঞ্জন ভাত তাও আবার নুনে পোড়া।
- এক ভস্ম আর ছার,দোষগুণ কব কার।
- এক মুখ সোনা দিয়ে ভরা যায়,পাঁচ মুখ ছাই দিয়েও ভরে না।
- এক মুখে তিন কথা শুনে লাগে মনে ব্যথা।
- এক মুখে দুই কথা।
- একতাই বল।
- এক মুরগি ক‘বার জবাই?
- এক মুরগি সাত জায়গায় জবাই।
- এক মাঘে শীত যায় না।
- এক মায়ের এক পুত, খায়দায় যমের দূত।
- এক মায়ের এক পুত- মইরা গেলে কুক্কুরুত।
- এক যাত্রায় পৃথক ফল।
- এক রত্তি দড়ি সকল ঘর বেড়ি।
- এক লাউ-এর বীচি, কেউবা করে কচর কচর কেউবা আছে কচি।
- এক সের জিনিসে পাঁচ সের ঠকানো।
- এক হাটে কিনে আর এক হাটে বেচতে পারে।
- এক হাতে তালি বাজে না।
- এক হেঁসেলে তিন রাঁধুনি,পুড়ে মরে তার ফ্যান গালুনি।
- একচোখো মাসি কারে ভালোবাসি।
- একটি ইঁদুর যদি নড়ে চোরের প্রাণ ধড়ফড়ে।
- একটি ভাত টিপলে, হাঁড়িসুদ্ধ ভাতের খবর মেলে।
- একতাই বল।
- একদিন ঘি-রুটি,একদিন দাঁত-ছিরকুটি।
- একবার রাজাকার আজীবন রাজাকার, একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয়।
- একবারের রোগী, আরবারের রাজা[রাজা=চিকিৎসক]।
- একলা ঘরের গিন্নি হব চাবি কাঠি ঘুরিয়ে যাব।
- একা ঘরের একা বউ খেতে বড় সুখ,মারতে এলে ধরতে নাই তাই বড় দুখ।
- একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর।
- একাই একশো।
- একাদশে বৃহস্পতি।
- একি ছেলের হাতে মোয়া।
- একুশ কোঁড়া গুণে খান, ফুলের ঘায়ে মুচ্ছো যান।
- একে তো মধুপর্কের বাটি তায় আবার কাত।
- একে তো হনুমান,তায় আবার রামের বাণ।
- একে মনসা তায় ধুনোর গন্ধ।
- একে মিনমিন দুয়ে পাঠ, তিনে গোলমাল চারে হাট।
- এখন না শুনলে বঁধু যৌবনের ভরে,পশ্চাতে কাঁদিতে হবে নয়নের নীরে।
- এখনই রসগোল্লা খেয়েছি, চা‘য়ে আর চিনি দিও না, ব্লাডসুগার আছে।
- এখান হতে মারলেম তির লাগল কলা গাছে,উরুত বেয়ে রক্ত পড়ে চোখ গেল রে বাবা(অসংলগ্ন কথা)।
- এগুলে রাম পেছুলে রাবণ।
- এগুলেও নির্বংশের বেটা,পেছুলেও নির্বংশের বেটা।
- এঁটে ধরলে চিঁচিঁ করে, ছেড়ে দিলে লঙ্কা মারে।
- এঁটো খায় মিঠার লোভে,যদি এঁটো মিঠা লাগে।
- এঁটো পাত কখনো স্বর্গে যায় না।
- এঁড়ে গরু, না টেনে দো।
- এত সুখ যদি কপালে তবে কেন তোর কাঁথা বগলে।
- এদিক নেই ওদিক আছে।
- এমনি যায় না মাস,আবার দুদিন বেশি।
- এমনি নাচুনি বুড়ি, তার উপর ঢোলের বাড়ি।
- এমনেই নাচুনে বুড়ি, তার ওপর ঢোলের বাড়ি।
- এমনিতে ছাই- তার উপর বাতাস।
- এ্যাং যায় ব্যাং যায়,খলসে বলে আমিও যাই।
- এয়সা দিন নেহি রহেগা।
- এর মুণ্ডু ওর ঘাড়ে।
- এরন্ডোঽপি দ্রুমায়তে।
- এস্পার কি ওস্পার।
ঐ
- ঐ দিন আর নাইরে নাতু, খাবলা খাবলা পায়রার ছাতু।
ও
- ওজন বুঝে চলা।
- ওঝার ঘাড়ে ভূতের বোঝা।
- ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে[অমনি হল বিয়ে]।
- ওরে পাগল খাবিনে, না, হাত ধোব কোথা?
- ওল খেয়ে গোল।
- ওষুধ ধরেছে।
- ওস্তাদের মার শেষ রাতে। / ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে।
ঔ
- ঔষধার্থে সুরা পান, পান না বাড়ালেই থাকে মান।
ক
- ক অক্ষর গোমাংস।
- ক‘টি ছেলে, না, পুড়িয়ে খাব[বধিরদের অসংলগ্ন কথা]।
- কংস মামার আদর।
- কই মাছের প্রাণ অল্পেতে না যান।
- কই হইল আগরতলা, আর, কই চৌকিরতলা।
- কইতে কইতে মুখ বাড়ে,খাইতে খাইতে পেট বাড়ে।
- কইতে জানলে ঠকি না,বসতে জানলে উঠি না।
- কইলাম কথা সবার মধ্যে; যার কথা তার গায়ে যায় বিন্দে
- কুকুর রাজা হলেও জুতো খায়।
- কুকুরকে নাই দিলে মাথায় ওঠে।
- কুকুরের কামড় হাঁটুর নীচে।
- কুকুরের পেটে ঘি হজম হয় না।
- কুকুরের মুগের পথ্যি কুকুর বলে মোর এ কি বিপত্তি।
- কুকুরের লেজে ঘি ঢালেলও সোজা হয় না।
- কচু কাটতে কাটতেই ডাকাত।
- কচু পোড়া খাওয়া।
- কচুর বেটা ঘেচু,বড় বাড়েন তো মান।
- কচি খুকি, কুলোয় শুয়ে তুলোয় দুধ খান।
- কুঁজী, না, ঐ তো পুঁজি।
- কুঁজোর ইচ্ছা চিত হয়ে শোয়।
- কুত্তা হাগে না ক্ষিদার ডড়ে।
- কুত্তার পেটে ঘি সয় না।
- কুত্তার, দৌড় ছারা হাডা নাই, বাইত গা ( ঘরে গিয়া ) দেহে কাম নাই।
- কুত্তারে যাই তেলুই দিতে- কুত্তায় যায় গু খাইতে।
- কড়ি থাকলে বেয়াইয়ের বাপের শ্রাদ্ধ হয়, না থাকলে নিজের বাপের শ্রাদ্ধও হয় না।
- কড়ি দিয়ে কানা গরু কেনা।
- কড়ি দিয়ে কিনব দই গোয়ালিনী মোর কিসের সই?
- কড়ি দিয়ে খাই দই,কি করবে মোর গোয়ালা সই?
- কড়ি দিয়ে হেঁটে নদী পার।
- কড়ি লবে গুণে, পথ চলবে জেনে [গুরু করবে জেনে,জল খাবে ছেনে,কড়ি লবে গুণে, পথ চলবে জেনে]।
- কড়ি হলে বাঘের দুধ মেলে।
- কড়িকাঠ গোণা।
- কড়ির জিনিস পড়িস না?
- কুঁড়ে কৃষাণ অমাবস্যা খোঁজে।
- কুঁড়ে গরুর এঁটুলি সার।
- কুঁড়ে ঘরে বাস খাট পালঙ্কের আশ।
- কুঁড়ে পাটুনির মুখে আঁটুনি।
- কণ্টকেনৈব কণ্টকম্।
- কত ধানে কত চাল।
- কত ব্রত করলি যশী,(এখন)বাকি ভূমি-একাদশী।
- কত রঙ্গ দেখালি মাসি।
- কত রবি জ্বলে রে, কেবা আঁখি মেলে রে?
- কত সাধ যায় রে চিতে, বেগুন গাছে আঁকশি দিতে।
- কতই সাধ হয় রে চিতে,ফোগলা দাঁতে মিশি দিতে।
- কতইবা দেখব আর ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার।
- কতক্ষণ রহে শিলা শূন্যেতে মারিলে?
- কথা টলার চেয়ে পা টলা ভালো।
- কথায় কথা বাড়ে, ক্রোধে হয় ঝড়, কথা না বাড়িয়ে সখি যাও এবে ঘর।
- কথায় চিঁড়ে ভেজে না।
- কথার গুণে বার্তা নষ্ট।
- কথার নেই মাথা, গরমে গায়ে কাঁথা।
- কনের ঘরের মাসি, বরের ঘরের পিসি।
- কনের মা কাঁদে, আর টাকার পুঁটুলি বাঁধে।
- কপট প্রেমে লুকোচুরি,মুখে মধু প্রাণে ছুরি।
- কৃপণের ধন বর্বরে খায়, কৃপণ করে হায় হায়।
- কুপুত্র যদ্যপি হয়,কুমাতা কখন নয়।
- কপাল গুণে গোপাল ঠাকুর।
- কপাল ভাঙলে জোড়া লাগে না।
- কপাল সাথে সাথে ফেরে।
- কপালে নেইকো ঘি ঠকঠকালে হবে কি?
- কপালের লিখন না যায় খণ্ডন।
- কম্বলের লোম বাছতে গাঁ উজাড়।
- কুমিরের সঙ্গে বিবাদ করে জলে বাস করা।
- কয়লা ছাড়ে না ময়লা।
- কয়লা ধুলে ছাড়ে না ময়লা।
- কুয়ো হয়,আমের ভয়,তাল তেঁতুলের কিছুই নয়[কুয়ো=কুয়াশা]।
- কর গোবিন্দ বাপের শ্রাদ্ধ আরও বামুন আছে।
- কর যদি তাড়াতাড়ি, ভুলের হবে বাড়াবাড়ি।
- করছে কীসের জাঁক, ময়না টিয়ে উড়িয়ে দিয়ে খাঁচায় পোষে কাক।
- কর্তা পান না, তাই খান না।
- কর্তা যে ঘি খান তা এক আঁচড়েই মালুম।
- কর্তার ইচ্ছায় কর্ম,উলু বনে কেত্তন।
- কর্মণ্যেবাধিকারস্তে না ফলেষু কদাচন।
- কলসির জল গড়াতে গড়াতেই শেষ।
- কলা গাছ কাটতে কাটতে ডাকাইত।
- কলার ভেলায় সাগর পার।
- কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না।
- কষতে কষতে বাঁধন ছেঁড়ে।
- ক্ষুদ খেয়ে পুঁজি করে দু-পুরুষে খরচ করে।
- ক্ষমার বড় গুণ নাই, দানের বড় পুণ্য নাই।
- ক্ষিদের চোটে পাটকেলে কামড়।
- ক্ষেত্রে কর্ম বিধিয়তে।
- ক্ষেতের চাষে দুঃখ নাশে।
- কা কস্য পরিবেদনা।
- কাক কোকিল একই বর্ণ, কিন্তু স্বরে ভিন্ন ভিন্ন।
- কাক খায় কাঁঠাল,বকের মুখে আঠা।
- কাক মনে করে আমি বড় সেয়ানা।
- কাক সকলের মাংস খায়,কাকের মাংস কেউ খায় না।
- কাকের উপর কামানের চোট।
- কাগের ছা, বগের ছা(লেখা)।
- কাকের ডিম সাদা হয়, বিদ্বানেরও ছেলে গাধা হয়।
- কাকের পিছে ফিঙে লাগা।
- কাকের বাসায় কোকিলের ছা,জাত স্বভাবে কাড়ে রা।
- কাকের মাংস কাকে খায় না,জোঁকের গায়ে জোঁক বসে না।
- কাঙলা আপনা সমালা।
- কাঙালকে শাকের ক্ষেত দেখাতে নেই।
- কাঙালের কথা বাসি হলে মিঠে।
- কাঙালের ঘোড়া রোগ।
- কাঙালের ঠাকুর ব্যাধি।
- কাঙালের রাংতা-ই সোনা।
- কাচঃ কাচো মণির্মণিঃ।
- কাচায় না নোয়ালে বাশ পাকলে করে ঠাস ঠাস।
- কাঁচপোকার আরশোলা ধরা।
- কাঁচা খাই,ডাসা খাই, আর খাই পাকা।
- কাঁচা গাথুনি, দুনো খাটুনি।
- কাঁচা বাঁশ ঘুণ ধরা।
- কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরলে, রক্ষা নাই তার কোনও কালে।
- কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরা।
- কাঁচা মাটিতে পা দেওয়া।
- কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে টাঁশ টাঁশ।
- কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ...।
- কাছা দেয়ার কাপড় নাই মাথার ওপর ঘোমটা চাই।
- কাছা দিতে কোঁচা আঁটে না,কোঁচা দিতে কাছা আঁটে না।
- কাজ নেই কাজ করে, ধানে চালে এক করে।
- কাজ সেরে বসি, শত্রু মেরে হাসি।
- কাজও নেই, কামাইও নেই।
- কাজীর গাই কিতাবে আছে- গোয়ালে নাই।
- কাজে এড়া ভোজনে দেড়া।
- কাজে কুঁড়ে ভোজনে দেড়ে,বচনে মারে তেড়ে ফুঁড়ে।
- কাজে কম খেতে যম।
- কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরোলে পাজি।
- কাজের বেলায় ভাগে খাবার বেলায় আগে।
- কাজের মধ্যে চাষ, রোগের মধ্যে কাশ।
- কাজের মধ্যে দুই খাই আর শুই।
- কাজের সময় কাজী, কাজ ফুরালেই পাজী!
- কাটতে কাটতে নির্মূল।
- কাটলে রক্ত নেই, কুটলে মাংস নেই।
- কাটা কান চুল দিয়ে ঢাকি।
- কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে।
- কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা।
- কাঁটা বিনা কমল নাই, কলঙ্ক বিনা চাঁদ নাই।
- কাঠবিড়ালীর সেতুবন্ধন।
- কাঠের বিড়াল হোক তাতে কিবা আসে যায়, ইঁদুর ধরে কিনা সেটাই বিষয়।
- কাঠের বিড়াল হোক, ইঁদুর ধরতে পারলেই হল।
- কাঁড়ানো চালে তিন ঘা পাড়।
- কাঁধে কুড়ুল বনময় খোঁজা।
- কানু ছাড়া গীত নাই।
- কান টানলে মাথা আসে।
- কানা ক‘বার নড়ি(যষ্টি) হারায়?
- কানা গরু বামুনকে দান।
- কানা গরুর ভিন'ন গোঠ।
- কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন।
- কানা পুতে পোষে, রাজা বেটি(ঝিয়ে/বৌয়ে) শোষে।
- কানা পুতের নানা রোগ।
- কানা মেঘের বৃষ্টি সর্বত্র নয় দৃষ্টি।
- কানে কলম গুঁজে দুনিয়ায় খোঁজা।
- কানে দিয়েছ তুলো, পিঠে বেঁধেছ কুলো।
- কানে হাত না দিয়েই বলে কান নিয়ে গেল চিলে
- কানের জল, জল দিলেই বেরোয়।
- কানের পোকা বের করা।
- কাপড় দিয়ে আগুন ঢাকা।
- কাপড় হলে পচা,আঙ্গুল হয় খোঁচা।
- কাপড়ের দাগ যায় ধুলে, মনের দাগ যায় ম‘লে।
- কাম নাই কুত্তার, আইলে আইলে দৌড়।
- কামারের দুহানে কুরান শরীফ পরুমনি?
- কামাতে না পারেন নাপিত ধামা ভরা ক্ষুর।
- কামানো মাথায় ক্ষুর বোলানো।
- কামারের কাছে লোহা জব্দ।
- কার কপালে কেবা খায়।
- কার শ্রাদ্ধ কে বা করে, খোলা কেটে বামুন মরে।
- কার শ্রাদ্ধ, বামুনের হদ্দ।
- কার সাধ্য মারে তারে,খোদা যারে রাজি।
- কারও ঘর পোড়ে, কেউ আগুন পোহায়(খই খায়)।
- কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ।
- কারও শাকে বালি, কারও দুধে চিনি।
- কারে পড়লে আল্লার নাম।
- কাল রাম রাজা হবে আজ বনবাস।
- কাল হাঁড়ি, কেয়া পাত, তবে দেখবি জগন্নাথ।
- কালনেমির লঙ্কা ভাগ।
- কালস্য কুটিলা গতিঃ।
- কালা পুরুত, তোতলা যজমান।
- কালা বলে গায় ভালো, কানা বলে নাচে ভালো।
- কালা শোনে ঢাকের বাদ্যি,কালা বলে মোর বিয়ের বাদ্যি।
- কালি কলম পাত, তবে লেখার হাত।
- কালি কলম মন,লেখে তিন জন।
- কালির অক্ষর নাইকো পেটে, চণ্ডী পড়ে কালীঘাটে।
- কালে কত দেখব আর, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার।
- কালে কালে কতই হল, পুলি পিঠের লেজ গজালো।
- কালের আবার কালাকাল।
- কালো জগত আলো।
- কালোয় কালোয় ধলো হয় না।
- কালো কাপড় রুখু মাথা, লক্ষ্মী বলেন থাকব কোথা?
- কাশীধামে কাক মরেছে কুমিল্লাতে হাহাকার।
- কি অপূর্ব সৃষ্টি না তিত না মিষ্টি।
- কি দেব, কি দেব খোঁটা, গয়ায় মরেছে (তার) বাপ-বেটা।
- কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।
- কিনতে পাগল, বেচতে ছাগল।
- কিবা জ্যেষ্ঠ কি কনিষ্ঠ,যেই বুঝে সেই শ্রেষ্ঠ।
- কিমাশ্চর্যমতঃপরম্।
- কিল খেয়ে কিল চুরি।
- কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো।
- কিয়ের মইধ্যে কী পান্তাভাতে ঘি।
- কিসে নেই কী, পান্তাভাতে ঘি।
- কী জামানা আইলো রে নানী; বাঘের খাচায় ছাগল ঢুইকা করে কত মস্তানি
- কীর্তিযস্য স জীবতি[চলচ্চিত্তং চলদ্বিত্তং চলজ্জীবনযৌবনম্। চলাচলমিদং সর্বং কীর্তিযস্য স জীবতি]।
- কেউ মরে, কেউ হরি হরি বলে।
- কেউ মরে বিল সেচে কেউ খায় কই।
- কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরুলো।
- কেঁচো দিয়ে কাতলা ধরা।
- কোথা রাম রাজা হবে, না কোথা রাম বনে যাবে।
- কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
- কোদাল পাড়লেই হয় না চাষ।
- কোন্ আক্কেলে কয় সংসার আমার নয়?
- কোন কালে নাইকো গাই, চালুনি নিয়ে দুইতে যাই।
- কোন্ বা বিয়ে তার দুপায়ে আলতা।
খ
- খঞ্জনের নাচ দেখে চড়ুইয়ের নাচ।
- খুঁট আখুরে গাঁয়ের বালাই(অল্প শিক্ষিত)।
- খুঁটির জোরে মেড়া লড়ে।
- খড়ম পায়ে দিয়ে গঙ্গা পার।
- খড়ের আগুন যেমন জ্বলে তেমন নেভে।
- খাই দাই বাঁশি বাজাই, রগড়ের ধার ধারি না।
- খাই দাই ভুলিনি, তত্ত্ব কখন ছাড়িনি।
- খাইতে পায় না খুদের ভাত, পুটকি দিয়া দেয় ম্যারা পিঠা।
- খাওয়াবে হাতির ভোগে, দেখবে বাঘের চোখে।
- খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি
- খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে,কাল কাল হল তার এঁড়ে গরু কিনে।
- খাঁচায় পুরে খোঁচা মারা।
- খাট ভাঙ্গলে ভূমিশয্যে।
- খাটে খাটায় লাভের গাঁতি,তার অর্ধেক মাথার ছাতি;ঘরে বসে পুছে বাত,তার কপালে হা-ভাত।
- খাতায় নাম লেখানো।
- খাঁদা নাকে তিলক পরা।
- খাঁদা নাকে নথ আর গোদা পায় মল।
- খাবার আছে চা‘বার নেই, দেবার আছে নেবার নেই।
- খাবার বেলায় মস্ত হাঁ, উলু দেবার বেলায় মুখে ঘা।
- খাবার বেলায় ন‘বার মা, ছেলে ধরতে কেউ না।
- খাবার সময় শোবার চিন্তা।
- খায় দায় পাখিটি,বনের দিকে আঁখিটি।
- খায় না খায় সকালে নায়,হয় না হয় দুবার যায়;তার কড়ি কি বৈদ্যে খায়?
- খায় মালকোঁচা মেরে ওঠে হাঁটু ধরে।
- খাল কেটে কুমির আনা।
- খাল পার হয়ে কুমিরকে কলা দেখানো।
- খালি কলসি বাজে বেশি।
- খিড়কি দিয়ে হাতি গলে, সদরে বাধে ছুঁচ।
- খেঁকি কুকুরের ঘেউ ঘেউ সার।
- খেতে খেতে লোভ বাড়ে, কাঁদতে কাঁদতে শোক বাড়ে।
- খেতে পায় না পচা পুঁটি, হাতে পরে হিরের আংটি।
- খেতে পেলে শুতে চায়।
- খেদাই না, তোর উঠোন চষি।
- খেয়ে দেয়ে একাদশী।
- খোঁড়ার পা খানায় পড়ে।
- খোদর ওপর খোদকারি।
- খোদার নাও দোয়ায় চলে।
- কাদায় পড়লে হাতি, চামচিকেতে মারে লাথি।
- খোশ খবরের ঝুটাও ভাল।
- খোসে তেল নেই, কলাবড়ার সাধ।
গ
- গঙ্গা গঙ্গা না জানি কত রঙ্গা-চঙ্গা।
- গঙ্গা জলে গঙ্গা পূজা।
- গঙ্গার জল গঙ্গায় র‘ল, পিতৃপুরুষ উদ্ধার হল।
- গজভুক্তকপিত্থবৎ[এখানে গজ=কয়েৎবেলের ভিতরের ক্ষুদ্র পোকা, কপিত্থ=কয়েৎবেল]।
- গুটি পোকা গুটি করে, নিজের ফাঁদে নিজে পড়ে।
- গড়তে চায় ঠাকুর, হয়ে যায় কুকুর।
- গুণে নুন দিতে নেই/গুণের ঘাট নেই(গুণহীনকে ব্যঙ্গ)।
- গুণের বালাই নিয়ে মরি।
- গতর নেই চোপায় দড়,মেঙ্গে খায় তার পালি বড়।
- গতস্য শোচনা নাস্তি।
- গদাইলসকরি চাল।
- গুনে কড়ি জলে ফেলা।
- গব্য থাকলে আগে পাছে,কি করবে তার শাকে মাছে।
- গুবরে পোকার পদ্মমধু খেতে সাধ।
- গভীর জলের মাছ।
- গরু জরু ধান রাখ বিদ্যমান/গরু জরু ধান না দেখলেই যান।
- গুরু বোবা, শিষ্য কালা(কালা=বধির)।
- গুরু মারা বিদ্যে।
- গরু মেরে জুতো দান।
- গরজ বড় বালাই।
- গর্জায় কিন্তু বর্ষায় না।
- গর্তের সাপ খুঁচিয়ে বার করা।
- গ্রহণ লাগলে সাবই দেখে(গ্রহণ = বিপদ)।
- গ্রামের নাম তেঘরে, তার আবার উত্তর পাড়া দক্ষিণ পাড়া।
- গরিবের কথা বাসি হলে মিঠে লাগে।
- গরিবের ঘোড়া রোগ।
- গরীবের বৌ হগ্গলের ভাবি।
- গরিবের রাঙতাই সোনা।
- গরু গোয়ালের পাশের ঘাস খায় না।
- গলা টিপলে এখনও দুধ বেরোয়।
- গলায় কাঁটা ফুটলে বেড়ালের পায়ে ধরে।
- গলার নীচে গেলে আর মনে থাকে না।
- গৃহ স্থির আগে কর, গৃহিনী স্থির তার পরে।
- গৃহিনী গৃহমুচ্যতে।
- গাঁ বড়, তার মাঝে পাড়া, নাক নেই তার নথ নাড়া।
- গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল।
- গাই কিনবে দুয়ে বলদ কিনবে বেয়ে।
- গাই ছিল না হল গাই,চালুনি নিয়ে দুইতে যাই।
- গাই নেই তো বলদ দো।
- গাই বাছুরে ভাব থাকলে মাঠে গিয়ে দুধ দেয়।
- গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন।
- গাঙ্গে গাঙ্গে দেখা হয়, বোনে বোনে নয়।
- গাছ থেকে পড়ে গেল জন পাঁচ সাত, যার যেখানে ব্যথা তার সেখানে হাত।
- গাছে উঠতে পারে না বড় আমটি আমার।
- গাছে ওঠে পড়তে, জামিন দেয় মরতে।
- গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল।
- গাছে তুলতে সবাই আছে।
- গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়া।
- গাছে/গাছ না উঠতেই এক কাঁদি।
- গাছের পরিচয় ফলে।
- গাছেরও খায় তলারও কুড়ায়।
- গাজনের নেই ঠিক ঠিকানা, ডেকে বলে বাজনা বাজা।
- গাধা জল ঘোলা করে খায়।
- গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করা।
- গায়ে ওড়ে খড়ি, কলপ দেওয়া দাড়ি।
- গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল।
- গায়ের কালি ধুলে যায় মনের কালি ম‘লে যায়।
- গায়ের গন্ধে ভূত পালায়,মাথায় ফুলেল তেল।
- গিন্নির উপর গিন্নিপনা ভাঙা পিঁড়েয় আলপনা।
- গিন্নির পাপে গেরস্থ নষ্ট।
- গেঁয়ো যোগীর ভিখ মেলে না।
- গোঁগা(গোঁ গোঁ করে কথা বলে, অর্থাৎ বোবা) ছেলের নাম তর্কবাগীশ।
- গোজন্ম ঘুচে গন্ধর্ব জন্ম।
- গোড়া কেটে আগায় জল।
- গোদা পায়ে মল।
- গোদের উপরে বিষফোঁড়া।
- গোঁফ দেখলেই শিকারী বেড়াল চেনা যায়।
- গোঁফ নেই কোনও কালে,দাড়ি রেখেছেন তোবড়া গালে(অনভিজ্ঞ প্রয়াস)। গোঁয়ারের মরণ খোঁয়ারে।
- গোভাগ্য নেই,এঁটুলি ভাগ্য আছে।
- গো-মড়কে মুচির পার্বণ।
- গোলে হরিবোল।
ঘ
- ঘটি ডোবে না নামে তালপুকুর।
- ঘুঘু দেখেছ ফাঁদ দেখনি।
- ঘট গড়তে পারে না মেটের বায়না নেয়(মেটে=বড় জালা)।
- ঘটকালি করতে গিয়ে বিয়ে করে আসা।
- ঘুঁটে কুড়ুনির ব্যাটার নাম চন্দনবিলাস।
- ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে, তোমার একদিন আছে শেষে।
- ঘন দুধের ফোঁটা, বড় মাছের কাটা(ভাল জিনিসের অল্পও ভালো)।
- ঘন্টা বাজিয়ে দুর্গোৎসব, ইতু পুজোয় ঢাক।
- ঘুমন্ত বাঘে শিকার ধরে না।
- ঘ্যান ঘেনে যে খোকা, বের করে কান-পোকা।
- ঘর কন্না করতে গেলে ঘটি বাটির সঙ্গে ঝগড়া হয়।
- ঘর চোরে পার নেই।
- ঘর থাকতে বাবুই ভেজা।
- ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখে ডরায়।
- ঘর ফাঁদবে ছাইবে না, ধার দেবে চাইবে না।
- ঘর ভেদেই রাবণ নষ্ট।
- ঘর সন্ধানী বিভীষণ।
- ঘর-জ্বালানো,পর ভুলানো।
- ঘরজামাইয়ের পোড়া মুখ, মরা বাঁচা সমান সুখ।
- ঘরদোর নেই যার আগুনে কি ভয় তার।
- ঘরমুখো বাঙালি, রণমুখো সেপাই।
- ঘরামির ঘর ছেঁদা।
- ঘরে ছুঁচোর কেত্তন, বাইরে কেঁচোর পত্তন।
- ঘরে নেই ঘটিবাটি, কোমরে মেলাই চাবি কাঠি।
- ঘরে নেই ভাত কোঁচা তিন হাত।
- ঘরে নেই যা, বাছা মাগে তা।
- ঘরে বসিয়ে মাইনে দেয় এমন মনিব কোথোয় পাব?
- ঘরে বসে রাজা উজির মারা।
- ঘরে বসে রাজার মাকে ডাইনি বলা।
- ঘরে বাইরে এক মন তবে হয় কৃষ্ণ ভজন।
- ঘরে ভাত না থাকলে শালগ্রামের সোনা বেচে খায়।
- ঘরে ভাত নেই দোরে চাঁদোয়া।
- ঘরে ভাত নেই, যত্নে ঘাট নেই।
- ঘরের ইঁদুর বাঁশ কাটলে ধরে রাখে কে?
- ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো।
- ঘরের ঢেঁকিই কুমির।
- ঘরের ভাত দিয়ে শকুনি পোষে, গোয়ালের গরু টেঁকে কীসে?(নীচকে উপকার করার ফল)।
- ঘরের মা ভাত পায় না, পরের জন্য মাথা ব্যথা।
- ঘরের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা।
- ঘরের শত্রু বিভীষণ।
- ঘরের ষাঁড় পেট ফাঁড়ে।
- ঘষতে ঘষতে পাথরও ক্ষয়ে যায়।
- ঘষে মেজে রূপ, আর ধরে বেঁধে প্রেম।
- ঘষে মেজে সুন্দরী।
- ঘায়ো কাঠালের মুচি খদ্দর।
- ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে গেল।
- ঘি আদুড়, ঘোল ঢাকা।
- ঘি দিয়ে ভাজ নিমের পাতা, তবু যায় না জাতের জাতা।
- ঘি ভাত খেতে ঠোঁট পুড়লো।
- ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া।
- ঘোড়া থাকলে চাবুকের ভাবনা?
- ঘোড়া দেখলেই খোঁড়া।
- ঘোড়া ভেড়ার এক দর।
- ঘোড়ার কামড় ছাড়তে জানে না।
- ঘোড়ার গোয়ালে ভেড়া ঢোকা।
- ঘোড়ার ঘাস কাটা।
- ঘোড়ার পেট গাধার পিঠ,খালি থাকে কদাচিৎ।
- ঘোমটার ভিতর খ্যামটা নাচা।
- ঘোমটার তলে খেমটা নাচ।
ঙ
চ
- চক চক করলেই সোনা হয় না।
- চক্রবৎ পরিবর্তন্তে দুঃখানি চ সুখানি চ।
- চক্রবৎ পরিবর্তন্তে দুঃখানি সুখানি চ।
- চক্ষু কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন।
- চক্ষে চক্ষে যত ক্ষণ, প্রাণ পোড়ে ততক্ষণ।
- চক্ষে দেখলে শুনতে চায় এমন বোকা আছে কোথায়?
- চক্ষের আড়াল হলেই মনের আড়াল।
- চড় মেরে গড় করা।
- চড় মেরে চড় খাওয়া।
- চূড়ার উপর ময়ূর পাখা।
- চণ্ডীচরণ ঘুঁটে কুড়োয়, রামা চড়ে ঘোড়া।
- চতুরের সঙ্গে চতুরালি।
- চন্দনং ন বনে বনে।
- চন্দ্র সূর্য অস্ত গেল, জোনাকি ধরে বাতি;মোগল পাঠান হদ্দ হল ফারসি পড়ে তাঁতি।
- চরণামৃত চরণামৃত, না জানি কি অমৃত,খেয়ে দেখি না জল।
- চুরি বিদ্যে বড় বিদ্যে যদি না পড়ে ধরা, যদি পড়ে ধরা তবে হাতে পায়ে দড়া। চুল থাকে তো বাঁধি, গুণ থাকে তো কাঁদি।
- চলতে পারে না তার বন্দুক ঘাড়ে।
- চল্লেই চল্লিশ বুদ্ধি, না চল্লেই হতবুদ্ধি।
- চুলোর উপর ক্ষীর মন নয় স্থির।
- চাকরি তালপাতার ছাউনি।
- চাকরি মেঘের ছায়া,মিছে কর তার মায়া।
- চাচা আপন প্রাণ বাঁচা।
- চাচাই বল কাকাই বল,কলাটি পাঁচ কড়া।
- চাঁদে কলঙ্ক আছে, গোলাপে কণ্টক।
- চাঁদের কাছে জোনাকি পোকা,ঢাকের কাছে টেমটেমি।
- আকাশে থুতু ফেললে নিজের গায়ে পড়ে।
- চাপ পড়লেই বাপ।
- চাল কি দর, না মামার ভাতে আছি।
- চাল নাই ধান নাই,গোলাভরা ইঁদুর।
- চাল নেই তার ধুচুনি নাড়া,নাক নেই তার নথ নাড়া।
- চালুনি বলে ছুঁচ তোর পিছনে ফুটো।
- চালুনি বলে ধুচুনি ভাই তুমি বড় ফুটো।
- চালে খড় নেই,ঘরে বাতি, বিছানা নেই পোহায় রাতি।
- চালের দর কত, না মামার ভাতে আছি।
- চালের বাতায় মাণিক থুয়ে উলু বনে হাতড়ানো।
- চিঁড়ের বাইশ ফের।
- চিন্তা জ্বরো মনুষ্যানাম্।
- চিন্তের মায়ের চিন্তে হাটের লোক শোয় কোথা।
- চিৎপাতের কড়ি উৎপাতে যায়।
- চিল পড়লে কুটোটাও নিয়ে ওঠে।
- চিলে কান নিয়ে গেল।
- চেটায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন।
- চেনা বামুনের পৈতে লাগে না।
- চোখ থাকতে কানা।
- চোখ বন্ধ করলে কি প্রলয় বন্ধ হয়?
- চোখের দোষে সব হলদে।
- চোর চায় ভাঙা বেড়া।
- চোর ছেঁচড় চোপায় দড়, আগে দৌড়ায় ঠাকুর ঘর।
- চোর দিয়ে চোর ধরা।
- চোর ধরতে চোরকে লাগানো।
- চোর গেলে বুদ্ধি বাড়ে।
- চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে।
- চোর ভাল তো বেকুব ভালো না।
- চোরকে বলে চুরি করতে গেরস্তকে বলে সজাগ থাকতে।
- চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী।
- চোরে উপর বাটপাড়ি।
- চোরে কামারে দেখা নেই সিঁধ কাঠি গড়া।
- চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।
- চোরের উপর বাটপারি।
- চোরের উপর রাগ করে মাটিতে ভাত খাওয়া।
- চোরের শতেক রাত গেরস্থের এক রাত।
- চোরের গরু গোয়ালে বাঁধা।
- চোরের দশদিন, গেরস্থের এক দিন।
- চোরের মনে বোঁচকা।
- চোরের মা'র বড় গলা।
- চোরের রাত্রিবাসও লাভ।
- চোরের সাক্ষী গাঁট কাটা, শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল।
- চোরের সাক্ষী গাইদ কাটা।
- চোরের সাক্ষী মাতাল।
- চৌকিদারি কি ঝকমারি।
ছ
- ছুঁচ হয়ে ঢোকে ফাল হয়ে বেরোয়।
- ছুঁচো মেরে হাতে গন্ধ।
- ছুঁচোয় যদি আতর মাখে তবু কি তার গন্ধ ঢাকে।
- ছুঁচোর গোলাম চামচিকে,তার মাইনে চৌদ্দ সিকে।
- ছল করে জল আনা।
- ছাই চাপা কি আগুন রয়?
- ছাই পায় না, মুড়কি জলপান।
- ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো।
- ছাগল দিয়ে ধান মাড়ানো।
- ছাগল বলে আলুনি খেলাম,গেরস্ত বলে প্রাণে ম‘লাম।
- ছাগলে কি না খায়, পাগলে কি না কয়?
- ছাগলের তৃতীয় সন্তান[বঞ্চিত]
- ছাঁচের ঘরে খাবি খায়, সমুদ্রপার হতে চায়।
- ছাতুর হাঁড়িতে বাড়ি পড়া।
- ছাতা দিয়ে মাথা রাখা।
- ছায়াতে ভূত দেখা।
- ছাল নেই কুত্তার বাঘা নাম।
- ছাল নাই কুত্তার বাঘা ফাল।
- ছিকলি কাটা টিয়া।
- ছিঁড়ল দড়া তো ছুটল ঘোড়া।
- ছিঁড়ে ছিঁড়ে কাটুনি, পুড়ে পুড়ে রাঁধুনি।
- ছিলাম রোগী হলাম রোজা।
- ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকা স্বপ্ন দেখা।
- ছেড়ে দিয়ে তেড়ে ধরা।
- ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি।
- ছেঁদো কথার মাথায় জটা, খুলতে গেলে বিষম ল্যাঠা।
- ছেলের চেয়ে ছেলের মাথা ভারী।
- ছেলের হাতের মোয়া।
- ছোট কাঁটাটি ফোটে পায়,তুলে ফেল নইলে দায়।
- ছোট মুখে বড় কথা।
- ছোট সরাটি ভেঙে গেছে, বড় সরাটি আছে, নাচ-কোঁদ কেন বউ, আমার আন্দাজ আছে।
জ
- জগৎ জুড়ে জাল ফেলেছে, পালিয়ে বাঁচবি কোথা?
- জঙ্গলা কখন পোষ না মানে, মন সদা তার সোঁদর বনে।
- জুতো মেরে গরু দান।
- জুতো মেরেছে অপমান তো করেনি?
- জন জামাই ভাগনা এ তিন নয় আপনা।
- জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী।
- জন্ম মৃত্যু বিয়ে__ তিন বিধাতা দিয়ে।
- জন্মে দেখেনি লোহা, কোদালকে বলে গুণছুঁচ।
- জন্মের মধ্যে কর্ম নিমুর চৈত্র মাসে রাস(সামান্য কাজ করে অকর্মণ্য লোকের অহংকার)।
- জপ নেই তপ নেই ভস্মমাখা গায়।
- জপতপ কর কি মরতে জানলে ডর কি?
- জমি অভাবে উঠোন চষা।
- জুয়াচোরের বাড়ি ফলার, না আঁচালে বিশ্বাস নেই।
- জ্যান্ত মাছে পোকা পড়ানো।
- জল খেয়ে জলের বিচার(জাত জিজ্ঞাসা)।
- জল ছিটালে লগির খোঁচা খেতে হয়।
- জল জল বৃষ্টির জল, বল বল বাহুবল।
- জলে কুমির ডাঙায় বাঘ।
- জলে তেলে মিশ/খাপ খায় না।
- জলে পাথর পচে না।
- জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে বিবাদ।
- জলের কুমির ডাঙ্গায় এল।
- জলের ছিটে দিয়ে লগির গুঁতো খাওয়া।
- জলের শত্রু পানা, মানুষের শত্রু কানা।
- জাগন্ত ঘরে চুরি নেই।
- জাতও গেল পেটও ভরল না।
- জাতের পোলা আববা কয়..কুকখেনের পোলা শালা কয়।
- জানিবে শমন ভয়, দুর্জনের আশ্রয়।
- জামায়ের জন্য মারে হাঁস গুষ্টি সুদ্ধ খায় মাস।
- জামের খোসা ফেলে খাওয়া।
- জাল ছেঁড়া পলো ভাঙা(দুর্ধর্ষ লোক)।
- জিব পুড়ল আত্মদোষে, কি করবে মোর হরিহর দাসে।
- জীব দিয়েছেন যিনি আহার দেবেন তিনি।
- জেলের পরনে টেনা, মাছ বেচুনির কানে।
- জোছনাতে ফটিক ফোটে, চোরের মায়ের বুক ফাটে।
- জোয়ার মাত্রেই ভাঁটা আছে।
- জোয়ারের জল কতক্ষণ।
- জোর যার মুল্লুক তার।
ঝ
- ঝড়ে বক মরে, ফকিরের কেরামৎ বাড়ে।
- ঝাঁকের কই ঝাঁকে ফিরে যায়।
- ঝাঁঝরি বলে ছুঁচকে তুই বড় ফুটো।
- ঝাঁটা দিয়ে বিষ ঝাড়ানো।
- ঝি জব্দ কিলে, বউ জব্দ শিলে, পাড়াপড়শি জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে।
- ঝিকে মেরে বৌকে শেখানো।
- ঝি রে মাইরা বউরে বুঝায়।
- ঝির ঝি করবে কি(অনাবশ্যাক আশা)?
- ঝোলে ঝালে অম্বলে, সব ঠাঁই বেগুন চলে।
ঞ
ট
- টক টেশো আঁটিসারা, শাঁসশূন্য আঁশ ভরা, এই আম বিলাবার ধারা।
- টকের জ্বালায় দেশ ছাড়লাম তেঁতুল তলায় বাস।
- টাক, প্রকৃতি, গোদ মরণে হয় শোধ।
- টাকা তুমি যাচ্ছ কোথা? পিরিত যথা; আসবে কবে? বিচ্ছেদ যবে(টাকা ধার চাইলে বন্ধু বিচ্ছেদ)।
- টাকা যার মামলা তার।
- টাকায় টাকা আনে।
- টান দিয়ে বাঁধলে সট করে ছেঁড়ে।
- টেনে বাঁধতে কুলোয় না।
ঠ
- ঠক/ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়।
- ঠকঠকালে হবে কি, কপালে তোর নেই কো ঘি।
- ঠগ বাছতে গাঁ উজোড়।
- ঠাকুর ঘরে কে, না আমি তো কলা খাই না।
- ঠাট ঠমকে বিকোয় ঘোড়া।
- ঠেকবি যখন শিখবি তখন।
- ঠেলার নাম বাবাজী।
- ঠেলায় পড়ে ঢেলায় সেলাম।
- ঠেলার নাম বাবাজি।
ড
- ডুব দিয়ে খাই পানি আল্লা জানে আর আমি জানি।
- ডুব দিয়ে জল খেলে অমাবস্যার বাপেও জানে না।
- ডুবেছি না, ডুবতে আছি, দেখি পাতাল কত দূর?
- ডুমুরের ফুল, সাপের পা।
- ডাইনে আনতে বাঁয়ে কুলোয় না।
- ডাইনের কোলে পুত্র সমর্পণ।
- ডাইলের মধ্যে মুশুরি, সাগাইর (আত্মীয়) মধ্যে শ্বাশুড়ি।
- ডাকলে ডাক, বসলে ক্রোশ, পথ বলে মোর কিসের দোষ।
- ডাঙায় বাঘ জলে কুমির।
- ডানের মায়া বোঝা ভার।
- ডান্ডা মেরে ঠান্ডা।
- ডোবা দেখলেই ব্যাঙ লাফায়।
- ডোল ভরা আশা, কুলো ভরা ছাই।
ঢ
- ঢাক বাজিয়ে ইঁদুর ধরা।
- ঢাকী সুদ্ধ বিসর্জন।
- ঢাকের কাছে ট্যামটেমি।
- ঢাকের দায়ে মনসা বিক্রি।
- ঢাকের বাদ্যি থামলে মিষ্টি।
- ঢাল নাই, তরোয়াল নাই, নিধিরাম সর্দার।
- ঢিল দিয়ে ঢিল টেনে আনা।
- ঢিলটি মারলেই পাটকেলটি খেতে হয়।
- ঢেঁকি কেন গাঁ বেড়াক না, গড়ে পড়লেই হল।
- ঢেঁকি ভজে‘(ভজনা করে) স্বর্গে যাওয়া যায় না।
- ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে।
- ঢেঁকির কচকচি আর ঢাকের বাদ্যি চুপ করলেই ভাল।
- ঢেঁকিশাল দিয়ে কটক যাওয়া।
- ঢেঁকিশালে যদি মানিক পাই, তবে কেন পর্বতে যাই।
- ঢেউ দেখে লা‘[লা‘=না=নৌকো] ডুবিও না।
ণ
ত
- তুক তাক ছয় মাস, কপালে যা বারো মাস।
- তৃণবন্মন্যতে জগৎ[জগৎকে তৃণের মতো দেখে]।
- তপ্ত জলে ঘর পোড়ে না।
- তপ্ত ভাতে নুন জোটে না, পান্তা ভাতে ঘি।
- তুফানে ছেড়ো না হাল, নৌকা হবে বানচাল।
- তুফানে যে হাল ধরে না, সেই বা কেমন নেয়ে, কথা পাড়লে বুঝতে পারে না, সেই বা কেমন মেয়ে।
- তুমি খাও ভাড়ে জল আমি খাই ঘাটে।
- তুমি ফের ডালে ডালে আমি ফিরি পাতায় পাতায়।
- তুলো যেমন শুনতে নরম,বুনতে তেমন নয়।
- তৃষ্ণা এগোয় না জল এগোয়(কার গরজ বেশি?)।
- তস্মিন্ তুষ্টে জগৎ তুষ্টম্।
- তাত সয়,তবু বাত সয় না।
- তাঁতী রাগে কাপড় ছেঁড়ে, আপনার ক্ষতি আপনি করে।
- তাঁতীকুলও গেল, বৈষ্ণবকুলও গেল।
- তাপ বাড়ে ঝোপে আর খেজুর বাড়ে কোপে।
- তাল প্রমাণ বাড়ে, তিল প্রমাণ কমে।
- তাল, তেঁতুল, মাদার, তিনে দেখায় আঁধার।
- তালগাছের আড়াই হাত।
- তালৈর চে পুতরা ভারি।
- তাস, তামাক, পাশা, এ তিন কর্ম/সর্ব নাশা।
- তিন জন জানে তো ত্রিশ জন জানে।
- তিন নকলে আসল খাস্তা।
- তিন মাথা যার, বুদ্ধি নেবে তার।
- তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকা।
- তিল কুড়িয়ে তাল।
- তিলক কাটলেই বৈষ্ণব হয় না।
- তিলকে তাল করা।
- তীর্থের কাকের মতো বসে থাকা।
- তীরে এসেও হাল ছেড়ো না।
- তে হি নো দিবসা গতাঃ[সেই (সুখের) দিন চলে গেছে]।
- তেল দাও, সিঁদুর দাও, ভবি ভোলবার নয়।
- তেলা মাথায় ঢাল তেল, রুখু মাথায় ভাঙ্গ বেল।
- তেলা মাথায় তেল দিতে সবাই পারে।
- তেলাপোকা আবার পাখি, ভেরেণ্ডা আবার গাছ।
- তেলে জলে মিশ খায় না।
- তেলে জলেই মানুষের শরীর।
- তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠা।
- তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে।
- তোর গোয়ালে মোর বিয়াইছে গাই সেই সুত্রে তালতো ভাই।
- তোর শিল, তোর নোরা, তোরই ভাঙি দাঁতের গোড়া।
থ
- থলির মধ্যে হাতি পোরা।
- থাক রে কুকুর আমার পাশে(মনের আশে), ভাত দেব সেই পৌষ মাসে।
- থাকলে সোনার মান হয় না, হারালে সোনার মান।
- থাকে যদি চুড়ো বাঁশি, মিলবে রাধা হেন কত দাসী।
- থোড় বড়ি খাড়া, খাড়াবড়ি থোড়।
- থোঁতা মুখ ভোঁতা।
দ
- দু‘ নৌকায় পা দিলে পড়বে শেষে অগাধ জলে।
- দই খাবে মেধো, কড়ি দেবে সেধো।
- দুই স্ত্রী যার, বড় দুখ তার।
- দুই সতীনে ঘরকন্না, ঘরের গিন্নি ভাত পান না(গিন্নি=এখানে শাশুড়ি)।
- দুই হাড়ি একত্র থাকলেই ঠোকাঠুকি।
- দক্ষিণদ্বারী ঘরের রাজা, পূর্বদ্বারী তার প্রজা, পশ্চিমদ্বারীর মুখে ছাই, উত্তরদ্বারীর খাজনা নাই।
- দুধ কলা দাও যত, সাপের বিষ বাড়ে ততো।
- দুধ কলা দিয়ে সাপ পোষা।
- দুধ মেরে ক্ষীরটুকু।
- দুধকে দুধ জলকে জল।
- দধির অগ্র ঘোলের শেষ।
- দুধের স্বাদ কি ঘোলে মেটে।
- দুধের সাধ(তৃষ্ণা) কি ঘোলে মেটে।
- দুনিয়াদারি মুসাফিরি, সেরেফ আনাগোনা।
- দু-নৌকায় পা।
- দয়া আছে মায়া আছে, গলা ধরে কাঁদি;আধ পয়সায় আটটি কলা পরাণ গেলে না দি‘।
- দয়া করে দেয় নুন, ভাত মারে তিনগুণ।
- দরকার পড়লে খোঁড়াও লাফায়।
- দুর্গা বলে ঝুলে পড়।
- দুর্জনঃ প্রিয়বাদী চ নৈতদ্বিশ্বাসকারণম্; মধু তিষ্ঠতি জিহ্বাগ্রে হৃদয়ে তু হলাহলম।
- দুর্জনেরে পরিহরি, দূরে থেকে নমস্কারি।
- দুর্ভিক্ষ অল্পকাল স্মরণ থাকে চিরকাল।
- দল ভাঙলে যে, কৈ খাবে সে(দল=জলজ তৃণস্তূপ)।
- দশ দিন চোরের একদিন গেরস্থের।
- দশচক্রে ভগবান ভূত।
- দশপুত্র সম কন্যা যদি পাত্রে পড়ে।
- দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।
- দশে যারে বলে ছি, তার প্রাণে কাজ কি?
- দশের মোড় গাছের মোড়।
- দশের মুখে জয়, দশের মুখে ক্ষয়।
- দশের লাঠি একের বোঝা।
- দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।
- দুষ্ট লোকের মিষ্ট কথা,ঘনিয়ে বসে পাশে, কথা দিয়ে কথা লয়, প্রাণে বধে শেষে।
- দাঁ এর চেয়ে আছাড় বড়।
- দাঁড়ালে পোয়া, বসলে ক্রোশ, পথ বলে মোর কিসের দোষ?
- দাঁড়িকে মাঝি করা, মরা গাঙে ডুবে মরা।
- দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝে না।
- দাদারও চিঁড়ের ফলার।
- দান যেমন দক্ষিণাও তেমন।
- দারোগায় বলছে চাচি, আমি কি আর আছি!!!
- দায়ে পড়লে শালগ্রামের পৈতা বেচেও খায়।
- মিয়া বিবি রাজি তো কি করবে কাজি?
- দায়ে পড়ে দা‘ঠাকুর।
- দা‘-এ বালি, কুড়ুলে শিল, ভাল মানুষকে ভাল কথা বজ্জাতকে কিল। দারিদ্র্যদোষো গুণরাশিনাশী।
- দিও কিঞ্চিৎ না কোরো বঞ্চিৎ।
- দিন কাটে তো রাত কাটে না।
- দিন গেল আলে ডালে, রাত হলে চেরাগ জ্বালে।
- দিন যাবে রবে না।
- দিন যায় তো ক্ষণ যায় না।
- দিন যায়, কথা থাকে।
- দিনগত পাপক্ষয়।
- দিনে তারা দেখা।
- দিনে বাতি যার ঘরে, তার ভিটায় ঘুঘু চরে।
- দিল্লিকা লাড্ডু, যো খায়া সো পস্তায়া, যো ন খায়া সো ভি পস্তায়া।
- দীয়তাং ভুজ্যতাম।
- দেখ দেখ কর্ম শিখ শিখ ধর্ম।
- দেখ্ তোর, না দেখ্ মোর।
- দেখছি কত দেখব আর, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার।
- দেখতে পেলে শুনতে চায় না।
- দেখব কত কালে কালে গোঁফ রেখেছে তোবড়া গালে।
- দেখাদেখি চাষ, লাগালাগি বাস।
- দেখে শেখে আর ঠেকে শেখে।
- দেদোর মর্ম দেদোয় জানে(দুঃখী)।
- দেব ধন, বুঝব মন, কেড়ে নিতে কতক্ষণ।
- দেবতার বেলা লীলাখেলা, পাপ লিখেছে মানুষের বেলা।
- দেবা ন জানন্তি কুতো মনুষ্যাঃ(নারীর মন অস্থিরমতি)।
- দেয় থোয় রেখে মান তারে বলি যজমান।
- দেশগুণে বেশ।
- দেশে নাই যা, ছেলে চায় তা।
- দেহের গুমর করো না ভাই এই আছে এই নাই।
- দৈবজ্ঞ যদি বলে ঠিক তবে কেন মাগে ভিখ?
- দোয়া গাইয়ে চাট সই।
- দোষেগুণে সৃষ্টি, ঝড়ে জলে বৃষ্টি।
ধ
- ধুকড়ির ভিতর খাসা চাল।
- ধন জন যৌবন জোয়ারের জল কতক্ষণ?
- ধন থাকলেই সিঁধের ভয়।
- ধন নাই, কড়ি নাই নিধিরাম পোদ্দার।
- ধন সোহাগী মরেন কুড়োর জাউ খেয়ে।
- ধন, জন, পরিবার, কেহ নহে আপনার।
- ধনীর চিন্তা ধন ধন, নিরেনব্বুইয়ের ধাক্কা, যোগীর চিন্তা জগন্নাথ,ফকিরের চিন্তা মক্কা।
- ধনীর মাথায় ধর ছাতি, নির্ধনের মাথায় মার লাথি।
- ধনে ধন দেখে, পুতে পুত দেখে।
- ধনে সুখ নয়, মনে সুখ।
- ধর কাছি তো ধরেই আছি।
- ধরতে ছুঁতে কিছুই নেই।
- ধর্ম হয় না করলেই উপাস।
- ধর্মস্য সূক্ষ্মা গতিঃ।
- ধর্মেণ হীনাঃ পশুভিঃ সমানাঃ।
- ধর্মের কল বাতাসে(আপনি)নড়ে, পাপ করলে ধরা পড়ে।
- ধর্মের ঢাক আপনি বাজে।
- ধর্মের ভরা ভেসে উঠে, পাপের ভরা তল যায়।
- ধর্মো রক্ষতি ধার্মিকম্।
- ধরলে কোঁ কোঁ করে,ছেড়ে দিলে পাকসাট মারে[পাকসাট=পাখার ঝাপট, তথা আস্ফালন]।
- ধরি মাছ না ছুঁই পানি।
- ধরে আনতে বললে বেঁধে আনে।
- ধুলো মুঠা ধরতে সোনা মুঠা হয়।
- ধান একগুণ, ঘাস শতগুণ।
- ধান খায় কাকে, ব্যাঙের পায়ে দড়ি।
- ধান নাই চাল নাই, আন্দিরাম মহাজন।
- ধান ভানতে শীবের গীত।
- ধানের আগে উড়ি ফোলে[’উড়ি‘ একপ্রকার ধান]।
- ধার করে খায়, হেঁট মাথায় যায়।
- ধারে কাটে আর ভারে কাটে।
- ধীর জ্বাল, ঘন কাটি, তবে বলি দুধ আউটি।
- ধীর ধীর বোনে তাঁতি সকল জিনে।
- ধীর পানি পাথর কাটে।
- ধীরে রাঁধে ধীরে খায়, তবে খাওয়ার মজা পায়।
- ধোঁয়া আর প্রেম চেপে রাখা যায় না
ন
- ন চ দৈবাৎ পরং বলম্।
- ন দেবায়, ন ধর্মায়।
- ন নিম্বো মধুরায়তে।
- ন ভূতো, ন ভবিষ্যতি।
- ন যযৌ, ন তস্থৌ।
- ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি। পিতা রক্ষতি কৌমারে, ভর্তা রক্ষতি যৌবনে ;পুত্রশ্চ স্থবিরে ভাবে, ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি। নারী বাল্যে পিতার, যৌবনে ভর্তার এবং বার্ধক্যে পুত্রের অধীনে থাকিবেন। স্ত্রীগণের পক্ষে স্বাধীন হওয়া উচিত নয়। এখানে স্বাধীন বলতে যথেচ্ছাচারী বোঝাচ্ছে।
- ন সন্তোষাৎ পরং সুখম্।
- ন হি সুপ্তস্য সিংহস্য প্রবিশন্তি মুখে মৃগাঃ।
- নই কাজ তো খই ভাজ।
- নখে কাটে কচি কালে, ঝুনো হলে দাঁত না চলে।
- নখের ছিদ্রে কুড়াল লাগানো।
- নটে খেটে আড়াই মাস, সজনে ফলে বার মাস।
- নড়তে পারে না কামান ঘাড়ে।
- নুন ছাড়া ঘি মাটি
- নূতন নূতন ন‘কড়া, পুরানো হলে ছ‘কড়া।
- নদী শুকোলেও রেখা থাকে।
- নদী, নারী, শৃঙ্গধারী_ এ তিনে না বিশ্বাস করি।
- নদীকূলে বাস ভাবনা বারোমাস।
- নদীর এক কূল ভাঙ্গে আর এক কূল গড়ে।
- নদীর পানি ঘোলা ভালো, জাতের মেয়ে কালো।
- নদীর মুখে বালির বাঁধ।
- নুন আনতে পান্তা ফুরায়।
- নুন খাই যার গুণ গাই তার।
- ননদেরও ননদ আছে(ননদ, ননদিনী, ননদী=স্বামীর বোন, নন্দাই=ননদের স্বামী, ভাজ= ভ্রাতার পত্নী, ভ্রাতৃ জায়া। সব কটি মেয়েদের দিক থেকে সম্পর্ক)।
- নবাব আর কি? নবাব খাঞ্জা খাঁ(মুর্শিদকুলি খাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী খান্ জাহান খান্)।
- নয় মণ তেলও পুড়বে না, রাধাও নাচবে না।
- ন্যাড়া ক‘বার বেলতলা যায়?
- নরক তো গুলজার।
- নরুনে তালগাছ কাটা।
- নরম কাঠে ছুতোরের বল।
- নরম মাটিতে বেড়াল আঁচড়ায়।
- নরানাং মাতুলক্রমঃ।
- নরের মন নারায়ণ জানেন।
- না আঁচালে বিশ্বাস নেই।
- না আছে আয়োজন, পাড়া ভরে নিমন্ত্রণ।
- না খেলে যাবে দিন, ধার করলে হবে ঋণ।
- না চাইতে ছাতাটা পাই, চাইলে বুঝি ঘোড়াটা পাব।
- না দেখে চলে যায়, পায়ে পায়ে হোঁচট খায়।
- না পড়েই পণ্ডিত।
- না পাইয়া পাইছে ধন বাপে পুতে করে কিত্তন।
- না বুঝে ছিলাম ভাল, আধেক বুঝে পরান গেল।
- না বিয়িয়েই কানা‘য়ের মা।
- না মরতেই ভূত?
- নাই কাজ তো খই ভাজ।
- নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল।
- নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানো।
- নাকে সরষের তেল দিয়ে ঘুমানো।
- নাকের উপরে এক বিঘৎ আর এক হাত!
- নাকের জলে চোখের জলে হওয়া।
- নাকের বদলে নরুন।
- নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা।
- নাচতে নেমে ঘোমটা টানা।
- নাচে ভাল পাক দেয় উল্টো।
- নাড়া বনে কেত্তন।
- নাতি-খাতি বেলা গেলু শুতি পারলাম না।
- নাতির নাতি স্বর্গের বাতি।
- নাদা পেটা হাঁদা রাম।
- না-দেওয়া কাঁঠালের শাওনে পাক(না দিতে চাইলে কাঁঠাল শ্রাবণে পাকে)।
- না-দেওয়ার চাল, আজ না কাল।
- নানা মুনির নানা মত।
- নাপিত দেখলে নখ বাড়ে।
- নাপিতের আসি, ধোপার বাসি।
- নাপিতের ষোল চোঙা বুদ্ধি।
- নামে ডাকে গুরু মশাই,লেজা মুড়োর জ্ঞান নাই।
- নামে তালপুকুর ঘটি ডোবে না।
- নামে ধর্মদাস, ধর্মের নাম নেই।
- নারীর বল চোখের জল।
- নাস্তিকের মুখে ধর্ম কথা।
- নাহংকারাৎ পরো রিপু।
- নিকুলে চুকুলে ঘর, কামালে(গোঁফহীন পরিচ্ছন্ন হলে) বর।
- নিকামায়ে(কামাই বা আয় করে না, কাজহীন) দর্জি ছেলের মুখ সেলাই করে।
- নিজে বাচলে বাপের নাম।
- নিজের কোলে ঝোল টানা।
- নিজের চরকায় তেল দাও।
- নিজের দই কেউ টক বলে না।
- নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ।
- নিজের পাঁটা যায় লেজে কাটা।
- নিজের পায়ে কুড়ুল মারা।
- নিজের পোলায় খায় কম।
- নিজের ভাই ভাত পায় না শালীর তরে মণ্ডা।
- নিত্য চাষির ঝি বেগুন ক্ষেত দেখে বলে এ আবার কি?
- নিত্য ভিক্ষা তনু রক্ষা।
- নিত্য রোগী দেখে কে, নিত্য নেই দেয় কে?
- নিতে পারি খেতে পারি, দিতে পারি নে, বলতে পারি কইতে পারি, সইতে পারি নে।
- নিদান কালে হরিনাম।
- নিদানের বিধান নেই।
- নিবৃত্তরাগস্য গৃহং তপোবনম্।
- নিম তিত নিসিন্দে তিত,তিত মাকাল ফল;তার চেয়ে অধিক তিত বোন সতীনের ঘর।
- নিম তিত, নিশিন্দে তিত, তিত মাকাল ফল, তার চেয়ে তিত কন্যে বোন সতীনের ঘর।
- নিম তিত, নিসিন্দে তিত, তিত নিমের ফুল, তার চেয়ে তিত অধিক দুই সতীনের কুল।
- নিম নিসিন্দে যেথা, মানুষ মরে না সেথা।
- নিমক খেয়ে নিমক হারামি।
- নিমতলা দিয়ে যাওনি, নিমফল খাওনি?
- নিয়তিঃ কেন বাধ্যতে।
- নির্গুণ পুরুষের ভোজন সার, করেন সদাই মার মার।
- নির্গুণ পুরুষের তিনগুণ ঝাল।
- নির্ধনের ধন হলে দিনে দেখে তারা।
- নির্ধনের ধন, অথর্বের যৌবন।
- নীচ যদি উচ্চভাষে, সুবুদ্ধি উড়ায় হেসে।
- নীরোগ শরীর যার বৈদ্যে করবে কি; পরের ভাতে বেগুন পোড়া, পান্তা ভাতে ঘি।
- নুন আনতে পান্তা ফুরায়।
- নুন খাই যার গুন গাই তার ।
- নেই নাক তার গোঁফের বাহার।
- নেই-মামার চেয়ে কানা মামা ভালো।
- নেকা আদুরে চালশে কানা, জল বলে খায় চিনির পানা।
- নেকা, বোকা, ঢিলে কাছা, তিনে প্রত্যয় করো না বাছা।
- নেঙটা নেই বাটপারের ভয়।
- নেড়া আর কি বেলতলায় যায়?
- নেবু কচলাবে যত, হবে তেত ততো।
- নেবার কুটুম দেবার নয়।
- নেবার বেলায় পরিপাটি, দেবার বেলায় ফাটাফাটি।
- নেভবার আগে ক্ষণেক তরে, দীপ জ্বলে দপ করে।
- নেয়ের এক নাও, নিনেয়ের(যার নৌকো নেই) শতেক নাও।
- নেশাতে বুক ফাটে, কুকুরে মুখ চাটে।
- নেংটার নাই চোরের ভয়।
- ন্যাড়া বেলতলায় একবারেই যায়।
প
- পুকুর চুরি।
- পচা আদা, ঝালের গাদা/পচা আদায় ঝাল বেশি।
- পচা শামুকে পা কাটে।
- পরের পোলা মোটাই থাকে।
- পূজায় মন নেই নৈবিদ্যে চোখ।
- পূজার সঙ্গে খোঁজ নেই, কপাল জোড়া ফোঁটা।
- পুঁজি নেই তার পাঁজি আছে।
- পুঁজি ভেঙে খেতে ভাল, ভেটেন[ভাঁটি] গাঙে যেতে ভাল।
- পট্টবস্ত্রে গুঞ্জফল মূল্য নাহি হয়, ছিন্ন বস্ত্রে মোতির মূল্য নাহি হয় ক্ষয় [গুঞ্জফল=কুঁচ]।
- পুঁটি মাছের প্রাণ দেখতে দেখতে যান[অতি দুর্বল প্রাণ]।
- পড়ুক না পড়ুক পো‘ সভায় নে‘ গে‘ থো।
- পড়ল কথা সভার মাঝে, যার কথা তার গায়ে বাজে।
- পড়শী না বঁড়শি।
- পড়শীর মুখ না আরশির মুখ।
- পড়িলে ভেড়ার শৃঙ্গে ভাঙ্গে হিরার ধার।
- পড়ে গেলে ছাগলেও চাট মারে।
- পুড়ে ঝুড়ে রাঁধুনি, ছিঁড়ে ছুঁড়ে কাটুনী।
- পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা।
- পড়ে পাওয়া টাকা, ষোল আনাই লাভ।
- পড়েছি তাফালে, যা থাকে কপালে[তাফাল=গুড় তৈরির উনুন]।
- পড়েছি মোগলের হাতে খানা খেতে হবে সাথে।
- পতির পায়ে থাকে মতি তবে তারে বলে সতী।
- পতির মরণে সতীর মরণ।
- পথ চলবে জেনে, কড়ি নেবে গুণে।
- পথে পাইছ কামার , দাও ধারানি আমার।
- পথি নারী বিবর্জিতা [পথের অপরিচিতা নারী দুর্জ্ঞেয়]।
- পথে পেলাম কামার, দা গড়ে দে আমার।
- পুনর্মূষিকো ভব।
- পুবে হাঁস, পশ্চিমে বাঁশ; উত্তরে কলা, দক্ষিণে খোলা।
- পর কখনও আপন হয় না।
- পর তরফে খায় ঘি, তার আবার খরচ কি?
- প্রদীপের কোলেই অন্ধকার/চেরাগের নীচেই অন্ধকার।
- পরপ্রত্যাশী, দু‘পহর উপোসী।
- পর্বতের মুষিক প্রসব।
- পুরুষের দশ দশা, কখনও হাতি কখনও মশা।
- পরহস্তং গতা গতা। লেখনী পুস্তিকা জায়া পরহস্তং গতা গতা;যদি মা পুনরায়াতি ভ্রষ্টা নষ্টা চ মর্দিতা।
- পরহস্তগতং ধনম্। পুস্তকস্থ তু যা বিদ্যা পরহস্তগতং ধনম্;কার্যকালে সমুৎপন্নে ন সা বিদ্যা ন তদ্ধনম।
- প্রহারেণ ধনঞ্জয়।
- প্রাণ বড় না মান বড়?
- পুরান পাগলের ভাত নাই, নতুন পাগলের আমদানি।
- পুরানো চাল ভাতে বাড়ে, পুরানো ঘিয়ে মাথা ঘাড়ে।
- পুরানো বসন ভাতি, অবলাজনের জাতি।
- পরিতে হইবে শাঁখা তবে কেন মুই বাঁকা?
- পরের কথায় লাথি চাপড়, নিজের কথায় ভাত কাপড়[পরচর্চা না করে নিজের কাজে মন দাও গে।
- পরের ঘরে খায় দায়, আঠারো মাসে বছর যায়।
- পরের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করা।
- পরের ঘি পেলে, প্রদীপ দেয় দুয়ারে মেলে।
- পরের ঘোল খাবার লোভে নিজের গোঁফ কামানো।
- পরের চাল,পরের ডাল, নদে করেন বিয়ে।
- পরের ছেলে খায় এতটা, বেড়ায় যেন বাঁদরটা;নিজের ছেলেটি খায় এতটি, বেড়ায় যেন লাটিমটি।
- পরের জন্য গর্ত খোঁড়ে, আপনি তাতে পড়ে মরে।
- পরের জন্য ফাঁদ পাতে, আপনি পড়ে মরে তাতে।
- পরের দুধে দিয়ে ফুঁ, পুড়িয়ে এলেন নিজের মু(মুখ)।
- পরের দেখে তোল হাই, যা আছে তাও নাই।
- পরের ধনে পোদ্দারি লোকে বলে লক্ষ্মীশ্বরী।
- পরের ধনে বরের বাপ।
- পরের পুতে বরের বাপ।
- পরের পিঠে বড় মিঠে।
- পরের ভাতে কুকুর পোষা।
- পরের মুখে ঝাল খাওয়া।
- পরের মন আঁধার কোণ।
- পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা।
- পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙে নিজের গোঁফে তেল।
- পরের মাথায় দিয়ে হাত, কিরা করে নির্ঘাত।
- পরের মাথায় হাত বুলানো।
- পরের লেজে পড়লে পা তুলো পানা ঠেকে, নিজের লেজে পড়লে পা ক্যাঁক করে ওঠে।
- পরের সোনা দিও না কানে, কেড়ে নেবে হেচকা টানে।
- পরের হাতে ধন পেতে অনেক ক্ষণ।
- পা না ভিজল যার বড় কৈ(মাছ) তার।
- পাকা ঘুঁটি কাঁচানো।
- পাকা ধানে মই দেওয়া।
- পাখি পড়ানোর মতো পড়ানো।
- পাখির প্রাণ অল্পেই যান।
- পাগল কি গাছে ফলে, আক্কেলেতে পাগল বলে।
- পাগলা ভাত খাবি, না হাত ধোব কোথায়?
- পাগলা সাঁকো নাড়িস নে, ভাল মনে করে দিয়েছিস।
- পাগলা নাও ঝুলাইস না।–ক্যা।–আমি বাতায় খাড়া।
- পাগলে কি না কয়! ছাগলে কি না খায়!
- পাগলের গোবধে আনন্দ [গো বধ মহাপাপ]।
- পাঁচ দিন চোরের এক দিন সাধুর।
- পাঁচ পাগলের ঘর, খোদায় রক্ষা কর।
- পাঁচ শ‘ জুতো গুণে খায়, ফুলের ঘায়ে মুচ্ছো যায়।
- পাঁঠার ইচ্ছেয় ঘাড়ে কোপ।
- পাতা চাপা কপাল, আর পাথর চাপা কপাল।
- পাতের ভাত কেড়ে নাওয়া।
- পাতের ভাতে পুষলাম যুগী, উলটে বলে পরবাস কি?
- পাতের ভাতে পালে কুকুর, কুকুর ওঠে মাথার উপুর।
- পাথরে ঘুণ ধরে না।
- পাথরে পাঁচ কিল।
- পাথরে লেখা মুছলেও যায় না।
- পান পান্তা ভক্ষণ, ঐ তো পুরুষের লক্ষণ; আমি অভাগী তপ্ত খাই, কোন দিন বা মরে যাই।
- পান সাজতে জানে না, দু পায়ে আলতা।
- পান হতে চুন খসে না।
- পান্তা ভাত ফুঁ দিয়ে খাওয়া।
- পান্তা ভাতে নুন জোটে না, বেগুন পোড়ায় ঘি।
- পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে যায়/উৎপাতের কড়ি চিৎপাতে যায়।
- পায়ের কাজ[লাথি] কি হাতে হয়?
- পার হ‘লে পাটনি শালা।
- পারা(পারদ) আর পাপে কার সাধ্য চাপে।
- পালাতে না পেরে মোড়লের বেহাই।
- পি পু ফি শু/ কত রবি জ্বলে রে, কে বা আঁখি মেলে রে।
- পিঠা খায় মিঠার জোরে, হাত নাড়ে নানীর[=পিতামহী] জোরে।
- পিঠে বেঁধেছি কুলো, কানে দিয়েছি তুলো।
- পিতল সরা জাঁকে ভরা।
- পিতলের কাটারি, কাজে নেই ধার, ঝকমকই সার।
- পিন্ডি পায় না, কেত্তন চায়।
- পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে।
- পিসি বলো মাসি বলো, মার বাড়া নাই; পিঠে বলো মিঠা বল, ভাতের বাড়া নাই।
- পেট জ্বলে ভাতের তরে, সোনার আংটি হাতে পরে।
- পেট মোটা হইলেই চেয়ারম্যান হয় না।
- পেটে খেলে পিঠে সয়, মরা পেটে বড় ভয়।
- পেটে নাই গু, জিলাপী হাগনের সখ হইছে!!
- পেটের আগুনে বেগুন পোড়ে।
- পেটের বাছা বাড়ির গাছা[গাছ]।
- পেঁয়াজও গেল, পয়জারও হল/পেঁয়াজ পয়জার দুই হল।
- পৈতা পুড়িয়ে সন্ন্যাসী/ব্রহ্মচারী।
- পোড়া কপালে সুখ নাই, বিয়ে বাড়িতে ভাত নাই।
- পোলা হওয়ার খবর নাই- হাজামের লগে দোস্তি।
- পোলার বুদ্ধি গলায়।
- পোষের শীত মোষের গায়, মাঘের শীত বাঘের গায়।
- প্রেমের মরা জলে ডুবে না
ফ
- ফকিরে ফকিরে ভাই ভাই, ফকিরের রাজত্ব সব ঠাঁই।
- ফুটনির মামা, ভিতরে ক্লেদ, উপরে জামা।
- ফরসা কাপড়ে মান বাড়ে।
- ফুরালো বাগানের আম কি খাবিরে হনুমান?
- ফুললো আর মলো।
- ফলেন পরিচীয়তে।
- ফুলের ঘায়ে মুচ্ছো যায়।
- ফুলের শোভা ভোমরা, গাই-এর শোভা চামড়া।
- ফাঁক পেলে সবাই চোর।
- ফোঁপরা ঢেঁকির শব্দ বেশি।
- ফাগুনে আগুন, চৈতে মাটি, বাঁশ রেখে বাঁশের পিতামহকে কাটি।
- ফ্যান দিয়ে ভাত খায়, গল্পে মারে দই, মেটে হুঁকোয় তামাক খায়, গুড়গুড়িটা কই?
- ফেল কড়ি মাখ তেল তুমি কি আমার পর?
- ফোতো বাবুর গালগল্প সার।
ব
- বউ উঠতে ঠাঁই পায় না, উঠান জোড়া দাসী।
- বউ কয় না হড়ি (শাশুড়ী)…টিলিক পাইরা মরি।
- বউ জব্দ শিলে, ঝি জব্দ কিলে, পাড়াপড়শী জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে।
- বউ ভাঙলে সরা গেল পাড়া পাড়া, গিন্নি ভাঙলে নাদা [কলসি], ও কিছু নায় দাদা।
- বউ-এর রাগ বিড়ালের উপর, বিড়ালের রাগ বেড়ার উপর।
- বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না।
- বকঃ পরমধার্মিকঃ/ বক ধার্মিক।
- বুকে ব‘সে দাড়ি ওপড়ানো।
- বগলে কাস্তে দেশময় খোঁজে।
- বগলে ছুরি মুখে রাম নাম।
- বচনে জগৎ তুষ্ট, বচনে জগৎ রুষ্ট।
- বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো।
- বজ্রাদপি কঠোরাণি মৃদুনি কুসুমাদপি। বজ্রাদপি কঠোরাণি মৃদুনি কুসুমাদপি, লোকোত্তরাণাং চেতাংসি কোহি বিজ্ঞাতুমীশ্বরঃ।
- বুঝতে পারি সেকরার ঠার, বলে এক করে আর।
- বড় গাছেই ঝড় লাগে।
- বড় গাছের তলায় বাস, ডাল ভাঙলেই সর্বনাশ।
- বড় ঘর বড় কথা, গরিবের ছেঁড়া কাঁথা।
- বড় ঘর বড় কথা, বললে কাটা যায় মাথা।
- বড় বড় বানরের বড় বড় পেট লংকায় যেতে তারা মাথা করে হেঁট।
- বড় বিয়ে তার দুপায়ে আলতা।
- বড় লোকের আঁস্তাকুড়ও ভালো।
- বড় মুখ ছোট হওয়া।
- বড় মাছের কাঁটা আর ঘন দুধের ফোঁটা।
- বড় হবে তো ছোট হও।
- বড়র পিরিতি বালির বাঁধ, ক্ষণে হাতে দড়ি, ক্ষণে চাঁদ।
- বড়র বড় গুন- শুয়ে ঘাস খায়, গায়ের গুমানে ছাগল লরলরি বায়।
- মড়া মেরে খুনের দায়।
- বুড়ো শালিক পোষ মানে না।
- বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ।
- বুড়ো হল বক চেনে না।
- বুদ্ধিগুণে হা ভাত, বুদ্ধিগুণে খা ভাত।
- বৃদ্ধস্য বচনং গ্রাহ্যমাপৎকালে হ্যপস্থিতে।
- বন পোড়ে সবাই দেখে, মন পোড়ে কেউ না দেখে।
- বনগাঁয়ে শেয়াল রাজা।
- বন্ধ্যা নারীর অন্ধ পুত্র চাঁদ দেখতে পায়।
- বন্ধ্যা নারীর পুত্র শোক।
- বনের রক্ষক বাঘ, বাঘের রক্ষক বন।
- বুনলাম ধান, হল তিল, ফলল রুদ্রাক্ষ, খেলাম কিল।
- বয়সে চুল পাকে, কিন্তু বুদ্ধি পাকে না।
- বরকনের দেখা নেই বুধবারে বিয়ে।
- বরমেকোগুণীপুত্রো ন চ মুখ শতান্যপি;একশ্চন্দ্রস্তমো হন্তি ন চ তারাগণা অপি।
- বর্ষণ নেই গর্জন সার।
- বরের ঘরের মাসি, কনের ঘরের পিসি।
- বল বুদ্ধি ভরসা, তিন তিরিশে ফরসা।
- বল মা তারা দাঁড়াই কোথা?
- বলা সহজ, করা কঠিন।
- বলীর ঘাম, নির্বলীর ঘুম।
- বলে দুধ, বেচে ঘোল।
- বসতে জায়গা পেলে, শোবার জায়গা মেলে।
- বসতে পেলে শুতে চায়।
- বসুধৈব কুটুম্বকম্।
- বসে খেলে কুলোয় না, করে খেলে ফুরোয় না।
- বসে না থাকি বেগার খাটি।
- বসে বসে লেজ নাড়া।
- বহু সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট।
- বহ্বারম্ভে লঘু ক্রিয়া।
- বাইরে হাশিখুশি ভিতরে গরল রাশি।
- বাউলের ঘরে গরু।
- বাঘ-ভালুকের রাজ্যে থাকি মনের কথা মনেই রাখি।
- বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা।
- বাঘে বলদে এক ঘাটে জল খায়।
- বাঘে সিংহে যুদ্ধ হয়, উলু খাগড়ার প্রাণ যায়।
- বাঘের আবার গোবধ[অর্থাৎ গো বধ করে পাপ!]।
- বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা।
- বাঘের দেখা সাপের লেখা।
- বাঘের যোগ্য বাঘিনী
- বাঘেরও চক্ষু লজ্জা আছে।
- বাঁচলে কত দেখব আর, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার;বিড়ালের কপালে টিকে, বাঁদর বেড়ায় হলুদ মেখে।
- বাছার আমার এত বাড়, ছ‘আনার কাপড়ে ন‘আনার পাড়।
- বাজাতে বাজাতে বাইন, গাইতে গাইতে গাইন।
- বাড়িতে পায় না শাক সজিনা, ডাক দিয়ে বলে ঘি আন না।
- বাড়ির গরু কোলার ঘাস খায় না।
- বাড়ির মধ্যে এক ঘর, তার আবার সদর অন্দর।
- বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীস্তদর্ধং কৃষি-কর্মণি;তদর্ধং রাজসেবায়াৎ ভিক্ষায়াৎ নৈব নৈব চ।
- বানরের গলায় মুক্তার মালা।
- বাপ জানে না, মা জানে না, হোগল বনে বিয়ে।
- বাপ না গোতে, চোঙ্গায় চোঙ্গায় মোতে।
- বাপকা বেটা সিপাই কা ঘোড়া, কুছ নেহি তো থোড়া থোড়া।
- বাপের জন্মে (কালে) চড়িনি ডুলি, ভেঙে গেল মোর পাছার খুলি, নামা ডুলি নামা ডুলি।
- বাপের জন্মে নেইকো চাষ, ধানকে বলে দুব্বো ঘাস।
- বাপের নাম কুদ্দুস- পোলায় করে দুধ রোজ।
- বাবু মরেন শীতে আর ভাতে।
- বাবা পেটে, মা হাটে, আমি তখন বছর আটে।
- বাবার কালে নেইকো গাই, চালুনি নিয়ে দুইতে যাই।
- বাবার কালে ছিল না গাই- চালন খান দোহাই খাই।
- বাবারও বাবা আছে।
- বামুন গেল ঘর তো লাঙল তুলে ধর।
- বামন হয়ে চাঁদে হাত।
- বামুনের গরু খায় অল্প, নাদে বেশি, দুধ দেয় কলসি কলসি।
- বামুনের ভাতে থাকা(কম পরিশ্রম)।
- বার কাঁদি নারিকেল, তের কাঁদি কলা;আজ আমাদের রানির উপোসের পালা। বারটা ঝাড়লুম তেরটা ম‘ল, তুই না মরে অপযশ হল(হাতুড়ে চিকিৎসক)।
- বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এইবার তোমার আমি বধিব পরাণ।
- বার মাসে তের পার্বণ।
- বার রাজপুতের তের হাঁড়ি,কেউ খায় না কারও বাড়ি।
- বার হাত কাঁকুড়ের তের হাত বিচি।
- বাঁশ বনে ডোম কানা(সিদ্ধান্ত নিতে পারে না)।
- বাঁশ মরে ফুলে, মানুষ মরে ভুলে।
- বাঁশি হারিয়ে শিঙায় ফুঁ।
- বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়।
- বাঁশের চেয়ে কঞ্চি মোটা।
- বাহিরে কেঁচোর পত্তন ভিতরে ছুঁচোর কীর্তন।
- বিচার মানি তালগাছ আমার।
- বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়া।
- বিলাইর মুতে আছার খাওয়া।
- বিদ্বান্ সর্বত্র পূজ্যতে।
- বিদ্যা দদাতি বিনয়ম্।
- বিদ্যারত্নং মহাধনম্। জ্ঞাতিভির্বণ্ট্যতে নৈব, চৌরেণাপি ন নিয়তে;দানেন ন ক্ষয়ং যাতি বিদ্যারত্নং মহাধনম্।
- বিধি যদি বিপরীত, কেবা করে তার হিত।
- বিধির লিখন না যায় খণ্ডন।
- বিন্দু বিন্দু বৃষ্টি পুকুরের সৃষ্টি।
- বিনা দানে মথুরা পার।
- বিনা মেঘে বজ্রাঘাত।
- বিপদ কখনও একা আসে না।
- বিপদে শিবের গোঁড়া, সম্পদে শিব তো নোড়া।
- বিমাতা বিষের ঘর।
- বিয়ে ফুরুলে ছাঁদলায় লাথি।
- বিয়ে ফুরুলে বাজনা, কিস্তি ফুরুলে খাজনা।
- বিলম্বে কার্য সিদ্ধি।
- বিশ্বকর্মা কত কারিগর তা জগন্নাথেই প্রকাশ।
- বিশ্বাসে মিলায় বস্তু(কৃষ্ণ) তর্কে বহু দূর।
- বিশ্বাসো নৈব কর্তব্যঃ স্ত্রীষু রাজকুলেষু চ।
- বিষ খেয়ে বিশ্বম্ভর।
- বিষ নেই কুলোপানা চক্কর।
- বিষকুম্ভং পয়োমুখম্। পরোক্ষে কার্য-হন্তারং প্রত্যক্ষে প্রিয়বাদিনম্; বর্জয়েৎ তাদৃশং বন্ধুং বিষকুম্ভং পয়োমুখম্।
- বিষবৃক্ষোঽপি সংবর্ধ্য স্বয়ং ছেত্তুমসাম্প্রতম্।
- বিষে বিষ ক্ষয়।
- বে-আক্কেলে কয় সংসার আমার নয়।
- বেকারের চেয়ে বেগার ভাল।
- বেগুন গাছে আঁকশি।
- বেগারের দৌলতে গঙ্গাস্নান।
- বেচা গরুর চর্বি বেশি।
- ব্যাঙ বলে সাপকে_ কারও কড়ি ধারি না[নিষ্ফল আস্ফালন]।
- ব্যাঙের আবার সদির্?
- ব্যাঙের নাকে মিনের নোলক।
- ব্যাঙের মাথায় ছাতি।
- বেদেয় চেনে সাপের হাঁচি।
- বেদের মরণ সাপের হাতে।
- বেঁধে মারে সয় ভাল।
- বেনা বনে মুক্তা ছড়ানো।
- বেনের কাছে মেকি চালানো।
- বেনো জল ঢুকিয়ে খরো‘ জল বের করা।
- বেল কুড়িয়ে রাঈ।
- বেল পাকলে কাকের কি?
- বেহায়ার নাহি লাজ, নাহি অপমান;সুজনকে এক কথা মরণ সমান।
- বৈষ্ণব হইতে বড় হয়েছিল সাধ, তৃণাদপি শুনে মনে লেগে গেছে তাক।
- বোঝার উপরে শাকের আঁটি।
- বৌ না বোবা, বৌ না বাবা।
- বৃক্ষ তোমার নাম কি?- ফলে পরিচয়।
ভ
- ভক্তিহীন ভজন আর লবণহীন ব্যঞ্জন।
- ভগবানের মার দুনিয়ার বার।
- ভজনের সঙ্গে খোঁজ নেই, ভোজন ছত্রিশ জাতে।
- ভূতের আবার গঙ্গাস্নান।
- ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ।
- ভূতের বেগার খাটা।
- ভূতের বোঝা বওয়া।
- ভূতের মুখে রাম নাম।
- ভবি ভোলবার নয়।
- ভবিতব্যং ভবত্যেব।
- ভবের খেলা সাঙ্গ হল।
- ভরাডুবির মুঠা লাভ।
- ভস্মে ঘি ঢালা।
- ভাই বড় ধন রক্তের বাধঁন পৃথক যদি হয় নারীর কারন ।
- ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই।
- ভাগ্যং ফলতি সর্বত্র, ন চ বিদ্যা ন পৌরুষম্।
- ভাগ্যবানের বোঝা ভগবানে বয়।
- ভাগাড়ে মড়া পড়ে, শকুনির টাক নড়ে।
- ভাগের ভাগ পেলে, না খেয়েও চিবিয়ে ফেলে।
- ভাগের মা গঙ্গা পায় না।
- ভাঙ্গবে তবু মচকাবে না।
- ভাঙ্গা ঘরে জোছনার আলো, যে দিন যায় সে দিন ভালো।
- ভাঙ্গা ঘরে বাস ভাবনা বারো মাস।
- ভাঙ্গা ঘরে ভূতের বাসা।
- ভাঙ্গা পা খানায় পড়ে।
- ভাজা মাছ উলটে খেতে জানে না।
- ভাঁড়ে নেই ঘি, ঠকঠকালে হবে কি?
- ভাত কখনও পেট খোঁজে না।
- ভাত কাপড়ের কেউ নয়, কিল মারার গোঁসাই।
- ভাত খাই কাঁসি বাজাই, রগড়ের ধার ধারি না।
- ভাত খাইতে বাসন নাই, থালের গড়াগড়ি।
- ভাত খাও ভাতারের, গুণ গাও নাঙ্গের।
- ভাত ছড়ালে কাকের অভাব নেই।
- ভাত ছড়ালে কাকের অভাব?
- ভাত জোটে না- দুধ রোজ।
- ভাত দেবার ভাতার নয়, কিল মারার গোঁসাই।
- ভাত পায় না কুঁড়ের নাগর, আমানি খেয়ে পেটটা ডাগর।
- ভাত পায় না চা খায়, হোন্ডা নিয়া হাগতে যায়।
- ভাত পায় না- ছালুন ছালুন করে।
- ভাত রোচে না, রোচে মোয়া, মণ্ড রোচে পোয়া পোয়া।
- ভাতও ভালো , চিড়াও মন্দ না।
- ভাতের খিদে কি অন্য কিছুতে মেটে।
- ভাবিতে উচিত ছিল প্রতিজ্ঞা যখন।
- ভাবে ডগমগ তেলাকুচো, হেসে ম‘লো রে ভুঁই-ছুঁচো।
- ভাল করতে পারি না, মন্দ করতে পারি।
- ভাল লোকের কিল চুরি।
- ভালুক চেনে শালুক ফুল
- ভিক্ষা চাইনা মা তোর কুত্তা সামলা।
- ভিক্ষার চাল কাঁড়া আর আকাঁড়া।
- ভিক্ষুকের এক দোর বন্ধ, শত দোর খোলা।
- ভিক্ষায়াৎ নৈব নৈব চ।
- ভিন্নরুচির্হি লোকাঃ।
- ভীষ্ম,দ্রোণ,কর্ণ গেল শল্য হল রথী, চন্দ্র সূর্য অস্ত গেল জোনাকির পাছে বাতি।
- ভূত দিয়ে ভূত ছাড়ানো।
- ভেক না নিলে ভিখ মেলে না।
- ভেরেণ্ডাও বৃক্ষ।
- ভেড়ার গোয়ালে বাছুর মোড়ল।
- ভেলায় সাগর পার।
- ভোজনং যত্র কুত্রাপি শয়নং হট্ট মন্দিরে;মরণং গোমতীতীরেঽপরং বা কিং ভবিষ্যতি।
ম
- মক্কার মানুষ হজ্ব পায়না।
- মুখ না থাকলে শেয়ালে খেত।
- মুখ পুড়িয়ে লঙ্কায় আগুন।
- মুখচোরা বামুন, কেশোরোগী চোর।
- মুখটি যেন ভাজার খোলা, খই ফুটছে ফোলা ফোলা।
- মুখে খুব মিঠে, নিম নিসিন্দে পেটে।
- মুখে মধু হৃদে ক্ষুর, সেইত হয় বিষম ক্রূর।
- মুখে রামনাম বগলে ছুরি।
- মুখেন মারিতং জগৎ।
- মুখের চোটে গগন ফাটে।
- মঘা, এড়াবি ক‘ ঘা?
- মুচি হয়ে শুচি হয় যদি হরি ভজে, শুচি হয়ে মুচি হয় যদি হরি ত্যজে।
- মুচির নাই নাক (চামড়ার গন্ধ), শুঁড়ির নাই কান(মাতালের কদর্য উক্তি)।
- মটরের চাপে মুসুরি চেপ্টা।
- মুড়া কোদালে দিঘি কাটা।
- মড়া মেরে খুনের দায়।
- মড়ার উপরে খাড়ার ঘা।
- মুড়ি মিছরির এক দর।
- মুড়ি[মাথা] আর ভুঁড়ি সকল রোগের গুঁড়ি।
- মুণ্ডমালার দাঁত কপাটি সার।
- মদ খায় না, মদে খায়?
- মদ্দ বড় তেজী, ধরবেন বনের বেজি।
- মধুপান করতে পারি, মাছির কামড় সইতে নারি।
- মধ্বভাবে গুড়ং দদ্যাৎ।
- মধুরেণ সমাপয়েৎ।
- মন চায় বাদশা হতে, খোদার দোয়া মেগে খেতে।
- মন ভাল নয় তীর্থ করে, মিছে কাজে ঘুরে মরে।
- মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।
- মনবো ঠাকুর দেব না, আমার পিত্যেশ কোরো না।
- মনিব গেলে ঘোল পায় না, বিশেকে পাঠায় দুধের তরে।
- মুনীনাঞ্চ মতিভ্রমঃ।
- মনে বড় সাধ, চড়ব বাঘের কাঁধ।
- মনে মনে লঙ্কা ভাগ।
- ময়না টিয়ে উড়িয়ে দিয়ে খাঁচায় পোষে কাক।
- ময়রার ছেলে গুড় খায় না।
- মূর্খ লোকে কেনে বই, জ্ঞানবানে পড়ে;ধনবানে কেনে ঘোড়া,বুদ্ধিমানে চড়ে। মূর্খস্য নাস্ত্যৌষধম।
- মরণকালে হরিনাম।
- মরণের বাড়া গাল নাই।
- মরবে মেয়ে উড়বে ছাই, তবে মেয়ের গুণ গাই।
- মরা কাকের আবার মড়কের ভয়?
- মরা মালঞ্চে ফুটল ফুল, টাকে আবার উঠল চুল।
- মরি তাহে খেদ নাই, কাঁটা বন দিয়ে না টানে।
- মূলা চোরের ফাঁসি।
- মূলে নেই লক্ষ্মী পূজো, একেবারে দশভুজো।
- মশা মারতে কামান দাগা।
- মশা মেরে হাত কাল।
- মশালচী আপনি কানা।
- মশালের কাছে চেরাগের আলো।
- মহাজনো যেন গতঃ স পন্থাঃ।
- মা কুরু ধনজনযৌবনগর্বম্।
- মা ডাকলে খেলাম না, বাবা ডাকলে খেলাম না, সাত পুরুষের ঢেঁকি বলে, পান্তা খা, পান্তা খা।
- মা পায় না কাঁথা-সেলাইয়ের সুতো, ব্যাটার পায়ে চৌদ্দ সিকের জুতো।
- মা বলেছে আমার নাকি মাথা ধরেছে।
- মা লক্ষ্মী ভিক্ষা মাগে।
- মাইরের উপর ওষুধ নাই।
- মাইরের নাম বাবাজী।
- মা'র জ্বলে না- মাসীর জ্বলে!
- মা'র থেকে যার দরদ বেশী - সে হইল ডাইনী।
- মা’র পরনে ছেড়া ত্যানা পুতে করে বাবু আনা
- মা‘য় কয় খা, বাপে কয় ল্যাখ, নামটি আমার আবদুল খালেক।
- মাছের কাঁটা গলায় বাঁধলে বিড়ালের পায়ে গড়।
- মাছের তেলে মাছ ভাজা।
- মাছের মায়ের পুত্রশোক।
- মাতৃবৎ পরদারেষু পরদ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ; আত্মবৎ সর্বভূতেষু যঃ পশ্যতি স পণ্ডিতঃ।
- মাতা শত্রুঃ পিতা বৈরী, যেন বালো ন পাঠিতঃ।
- মাথা নেই তার মাথা ব্যথা।
- মাথায় লাথি মেরে পায়ে গড়।
- মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল।
- মানুষ গড়ে, বিধাতা ভাঙে।
- মানুষে মানুষ চেনে, শুয়োরে চেনে কচু।
- মামা কানা আমি চোখে দেখিনে।
- মায়ের গলায় দিয়ে দড়ি, বউকে পরাই ঢাকাই শাড়ি।
- মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি।
- মায়ের চেয়ে দরদ বেশি তারে বলি ডান।
- মায়ের পোড়ে না মাসির পোড়ে, পাড়া পড়শীর কেতন ওড়ে।
- মারি তো গণ্ডার, লুটি তো ভাণ্ডার।
- মারের চোটে ভূত পালায়।
- মারো আর ধরো পিঠে দিয়েছি কুলো, বকো আর ঝকো কানে দিয়েছি তুলো।
- মিছরির ছুরি।
- মিছে কর আম্বা, যা করেন জগদম্বা।
- মিষ্টান্নমিতরে জনাঃ।(বিবাহকালে) কন্যা কাময়তে রূপং, মাতা বিত্তং, পিতা শ্রুতম্[বিদ্যা];বান্ধবাঃ কুলমিচ্ছন্তি, মিষ্টান্নমিতরে জনাঃ।
- মিষ্টি কথায় চিঁড়ে ভেজে না।
- মেও ধরবে কে?
- মেগে এনে বিলিয়ে খায় হাতে হাতে স্বর্গ পায়।
- মেঘ না চাইতেই জল।
- মেজে ঘষে হল ক্ষয়, কালো কি তবু ধলো হয়।
- মেয়েদের শ্বশুর বাড়ি বলে কিছু নেই, সেটাই তার বাড়ি; বাপের বাড়ি বেরু বাড়ি।
- মেয়ের মায়ের পাঁচটা প্রাণ।
- মেরে তুলোধোনা করা।
- মোগল পাঠান হদ্দ হল ফারসি পড়ে তাঁতি।
- মোগল পাঠান হদ্দ হল, ফারসি পড়েন তাঁতি, বাঘ পালাল বিড়াল এল, শিকার করতে হাতি।
- মোল্লার দৌড় মসজিদ অবধি/পর্যন্ত/তক।
- মৌনং সম্মতি লক্ষনম্।
য
- যঃ পলায়তি স জীবতি।
- যকের চোখে ঘুম নাই।
- যখন আদর জুটে, ফুটকলাই দিয়ে ফুটে; যখন আদর টুটে, ঢেঁকি দিয়ে কুটে। যখনকার যা তখনকার তা।
- যখন তখন করে পাপ, সময় বুঝে ফলে পাপ।
- যখন বিধি মাপায়, তখন উপরি উপরি মাপায়।
- যখন যার কপাল ধরে শুকনো ডাঙায় ডিঙি সরে।
- যখন যার তখন তার।
- যখন যার পড়তা হয়, ধুলোমুঠো ধরে সোনামুঠো হয়।
- যখন যেমন তখন তেমন।
- যজমানী বামুনের অন্নাভাব নেই।
- যত কর তাড়াতাড়ি, খেয়াঘাটে গড়াগড়ি।
- যত কর পুতু পুতু, ততো হয় ছোলার ছাতু।
- যত গর্জে ততো বর্ষে না।
- যত দোষ নন্দ ঘোষ।
- যত পাই ততো খাই।
- যত বড় মুখ নয়, ততো বড় কথা।
- যত মত, ততো পথ।
- যত সয় ততো রয়।
- যত হাসি ততো কান্না, বলে গেছে রামশর্মা।
- যতই কর শিব সাধনা, কলঙ্কিনী নাম যাবে না।
- যতই করিবে দান ততো যাবে বেড়ে[বিদ্যা]।
- যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ।
- যতন নহিলে নাহি মিলয়ে রতন।
- যম জামাই ভাগনা এ তিন নয় আপনা।
- যতো ধর্ম স্ততো জয়ঃ।
- যথারণ্যং তথা গৃহম্।
- যদ্ দৃষ্টং তল্লিখিতম্।
- যদু ধোপা, মধু ধোপা, সব ধোপারই এক চোপা।
- যুদ্ধের পরে সেপাই হাজির।
- যদি থাকে আগে পিছে, কি করে শাকে মাছে(আগে ঘি শেষে দুধ থাকলে)।
- যদি থাকে নসিবে- আপনি আপনি আসিবে।
- যদি থাকে বন্ধুর মন- গাং পাড় হইতে কতক্ষন।
- যদি দেখে আঁটা আঁটি কাঁদিয়া ভিজায় মাটি।
- যদি বরে পৌষে – কড়ি বিকায় তুষে।
- যদি বরে মাঘে- সোনা ফলে বাগে।
- যদি বরে মাঘের শেষ- ধন্য রাজার পূণ্য দেশ।
- যদি বর্ষে আগনে, রাজা যায় মাগনে।
- যদি হয় সুজন, তেঁতুল পতায় ন‘জন।
- যদি হয় সুজন, তেতুল পাতায় নয়জন।
- যদি হয় সোনার ভাগারি,তবু ধরে লোহার কাটারি।
- যস্মিন্ দেশে যদাচারঃ।
- যা নেই ভারতে তা নেই ভারতে।
- যাকে রাখ সেই রাখে।
- যার মনে যা - ফালদা ওঠে তা।
- যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা।
- যাদৃশী ভাবনা যস্য সিদ্ধির্ভবতি তাদৃশী।
- যাবজ্জীবেৎ সুখং জীবেৎ ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ; ভস্মীভূতস্য দেহস্য পুনরাগমনং কুতঃ।
- যার আছে মাটি,তারে নাহি আঁটি।
- যার কাজ তারেই সাজে, অন্য লোকের লাঠি বাজে।
- যার কেউ নেই তার ভগবান আছে।
- যার গলা ধরে কাঁদি, তার নাহি পানি।
- যার ছেলে যত পায়, তার ছেলে ততো চায়।
- যার জন্য করি চুরি সে-ই বলে চোর।
- যার দৌলতে চুয়া চন্দন, তারি পাতে খোলার ব্যঞ্জন।
- যার ধন তার ধন নয়, নেপোয় মারে দই।
- যার নুন খাই তার গুণ গাই।
- যার বিয়া তার খবর নাই, পাড়াপড়শির ঘুম নাই।
- যার বিয়ে তার মন নেই, পাড়াপড়শির ঘুম নেই।
- যার যা রীত,ছাড়ে কদাচিৎ।
- যার শিল, যার নোড়া, তারই ভাঙি দাঁতের গোড়া।
- যারে না বামুন বলি তার গায়ে নামাবলী।
- যারে নিন্দে, তারে পিন্দে।
- যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা।
- যারে বললে ছি, তার রইল কি?
- যাহা বাহান্ন তাহা তিপ্পান্ন।
- যে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে সে কুকুর কামড়ায় না।
- যে কথা রটে, তার কতক বটে।
- যে মুলোটা বাড়ে তা পত্তনেই বুঝা যায়।
- যে বাতাসে দাবানল বাড়ে, সেই বাতাসেই প্রদীপ নেভে।
- যে যায় লঙ্কায় সে-ই হয় রাবণ।
- যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে।
- যে সহে সে রহে।
- যেই গরু দুধ দেয়- তার লাথি খাওয়াও ভাল।
- যেই ছাও ওড়ে, ঘরের ভিতরেই ওড়ে।
- যেই না মাইয়ার চেয়ারা, নাম রাইখছে ফেয়ারা।
- যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধে হয়।
- যেখানেই আঁটাআঁটি, সেখানেই লাঠালাঠি।
- যেন তেন প্রকারেণ।
- যেমন কর্ম তেমনি ফল, মশা মারতে গালে চড়।
- যেমন সরা, তেমনি হাঁড়ি, গড়ে রেখেছে কুমোর বাড়ি।
- যোগ্যং যোগ্যেন যুজ্যতে।
র
- রুক্ষ মাথায় তেল দেয় না, তেলা মাথায় তেল।
- রক্ষকে ভক্ষণ করে, কে তারে রাখতে পারে?
- রঙ থাকলে রাঙা কড়ি, রঙ ফুরোলে গড়াগড়ি।
- রতনে রতন চেনে।
- রথ দেখা আর কলা বেচা।
- রূপে ঢল ঢল গুণে পশরা, কেঁদে ম‘ল যত ভুঁইছুঁচোরা।
- রাই কুড়িয়ে বেল।
- রাখে কৃষ্ণ মারে কে, মারে কৃষ্ণ রাখে কে?
- রাজা থাকতে কোটালের দোহাই।
- রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।
- রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট, স্ত্রীর দোষে স্বামীর কষ্ট।
- রাজার রাজপাট যোগী মুনির কাঁথা।
- রাজার রানি কানার কানী।
- রাজারও রায়ত নয়, সাধুরও খাতক নয়।
- রাত উপোসে হাতি পড়ে।
- রাঁধতে দেরি সয়, বাড়তে দেরি সয় না।
- রান্না খেতে কান্না পায়।
- রাম না হতে রামায়ণ।
- রাম ভজি কি রহিম ভজি?
- রাম লক্ষণ দুটি ভাই, রথে চড়ে স্বর্গে যাই।
- রামের ভাই লক্ষণ আর কি!
- রোগ মুড়িতে[মাথায়] আর ভুঁড়িতে।
- রোগের শেষ, আগুনের শেষ, শত্রুর শেষ, ঋণের শেষ, এ সবের শেষ রাখতে নেই।
- রোজার[ওঝা] ঘাড়ে বোঝা।
ল
- লক্ষ্মীর ঘরে কাল পেঁচা।
- লক্ষ্মীর পো ভিখ মাগে গো।
- লুকিয়ে খেলে শুকিয়ে যায়।
- লঙ্কায় রাবণ ম‘ল, বেহুলা কেঁদে রাঁড়ী হল।
- লজ্জা নেই যায়, রাজা হারে তায়।
- লম্বা কোঁচায় নমস্কার।
- ললাটলিপি খণ্ডন করা যায় না।
- লাই কুত্তার পাতে ভাত।
- লাউশাকের বালি, আর অন্তরের কালি।
- লাখ কথার ওপর এক কথা।
- লাখ টাকা লাখ টাকা, দুকুড়ি দশ টাকা।
- লাখ টাকা লাখ টাকা, তিন কুড়ি তিন টাকা
- লাখ টাকায় বামুন ভিখারি।
- লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন।
- লাগে তুক্ না লাগে তাক্।
- লাজে বউ খান না, চালতা হেন গ্রাস।
- লাজের মাথায় পড়ুক বাজ, সাধ গিয়ে আপন কাজ।
- লাট সাহেব আর কি!
- লাথ সয় তো বাত সয় না।
- লাথির কাজ কি চড়ে হয়?
- লাথির ঢেঁকি কি চড়ে ওঠে?
- লাথির ঢেঁকি মাথয় চড়ে।
- লাভে লোহা বয়।
- লাভের গুড় পিঁপড়েয় খায়।
- লিখিব পড়িব মরিব দুঃখে, মৎস্য মারিব খাইব সুখে।
- লেখা নয় যেন আরশোলার পায়ের ছাপ।
- লেখা পড়া করে যেই, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সেই।
- লেগে থাকলে মেগে খায় না।
- লেঙটার নাই বাটপারের ভয়।
- লোকে বলে আছে ভাল, শালুক খেয়ে দাঁত কালো।
- লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।
- লোম বাছতে কম্বল উজাড়।
- লোহা পাথরে যুদ্ধ করে, শোলা দিদি পুড়ে মরে।
শ
- শংকরাকে খেলে বাঘে, অন্যেরা কোথায় লেগে?
- শকুন যতই উপ্রে উঠুক তার নজর নিচেই থাকে।
- শকুনের দোয়ায় গরু মরে না।
- শক্ত মাটিতে বিড়াল আঁচড়ায় না।
- শক্তের তিনকুল মুক্ত।
- শক্তের ভক্ত নরমের যম/বাঘ।
- শুকনো ডাল ভাঙলেও নোয় না।
- শুকনো কাঠে ব্রহ্মশাপ।
- শুকনো গাছে জল সেঁচা।
- শুকনো ডাঙায় আছাড় খাওয়া।
- শঠে শাঠ্যং সমাচারেৎ।
- শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল।
- শতং বদ মা লিখ।
- শতং মাড়িং ভবেৎ বৈদ্যঃ, সহস্র মাড়িং চিকিৎসকঃ[মাড়িং=ঘোঁটানো]।
- শত্রুর মুখে ছাই দেওয়া।
- শত্রুর শেষ রাখতে নাই।
- শুকাইলেও আদার ঝাঝ যায় না।
- শুধু কথায় চিঁড়ে ভেজে না।
- শুধু গৌর নয়, গৌরহরি।
- শুধু মেঘে মাটি ভেজে না।
- শুয়োরের কপালে সিন্দুর লাগে না।
- শূন্য কলসি বাজে বেশি।
- শনির দৃষ্টি হলে পোড়া শোলও পালায়।
- শনৈঃ পর্বত লঙ্ঘনম্।
- শ্বশুর বাড়ি মধুর হাঁড়ি, তিন দিন পরে ঝাঁটা বাড়ি।
- শ্বা যদি ক্রিয়তে রাজা, স কিং নাশ্নাত্যুপানহম্।
- শ্বেত চামর আর কোষ্টা পাট(এক নয়)।
- শুভস্য শীঘ্রম্ অশুভস্য কালহরণম্।
- শমন-দমন রাবণ রাজা, রাবণ-দমন রাম।
- শ্যাম রাখি না কুল রাখি?
- শুয়ে শুয়ে লেজ নাড়ে সেই বাঘে মানুষ মারে।
- শুয়োরের কপালে গঙ্গামাটির ফোঁটা।
- শ্রদ্ধার যা পাই হাত পেতে খাই।
- শরীরং খলু ব্যাধিমন্দিরম্।
- শরীরমাদ্যং খলু ধর্মসাধনম্।
- শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়।
- শসাবেচুনি বেচে শশা, তার হয়েছে সুখের দশা।
- শাক অম্বল পান্তা, তিন ওষুধের হন্তা।
- শাক দিয়ে মাছ ঢাকা।
- শাক-চোরকে শূলে।
- শাঁখাহাতী শাখা নাড়ে, বেড়াল ভাবে ভাত বাড়ে।
- শাঁখের করাত আসতেও কাটে যেতেও কাটে।
- শানকির উপরে বজ্রাঘাত।
- শাপে বর হওয়া।
- শামুক দিয়ে সাগর সেঁচা।
- শাল চোরকে শূলে দেওয়া।
- শালুক চিনেছেন গোপাল ঠাকুর।
- শালগ্রাম পোড়ায়ে খেয়ে নুড়ি দেখে ভয়।
- শালগ্রামের শোয়া বসা সমান।
- শিং ভেঙে বাছুরের দলে ঢোকা।
- শিকল কাটা টিয়া পোষ মানে না।
- শিকারি বেড়ালের গোঁফ দেখলে চেনা যায়।
- শিখলি কোথা, না দেখলাম যেথা।
- শিখেছ কোথায়, ঠেকেছি যেথায়।
- শিব গড়তে বাঁদর হল।
- শিবের কন্যা শিবকে দান।
- শিবের সঙ্গে খোঁজ নেই গাজনের ঘটা।
- শিয়রে রাজা, কোটালের দোহাই।
- শিরে কৈলে সর্পাঘাত তাগা বাঁধবি কোথা?
- শিয়ালের কাছে মুরগী বর্গা।
- শেয়ানা ঘুঘুর ছা, ফাঁদে দেয় না পা।
- শেয়ানে শেয়ানে কোলাকুলি।
- শেয়ালের বাড়ি নিমন্ত্রণ, না আঁচালে বিশ্বাস নেই।
- শেষ রক্ষাই রক্ষা।
ষ
- ষট্কর্ণে মন্ত্রভেদ।
- ষাঁড়ের শত্রু বাঘে মারে।
- ষেঠের বাছা ষষ্ঠীর দাস।
- ষোল আনা বাজিয়ে নেওয়া।
- ষোল আনাই ভুয়ো, ষোল কড়াই কানা।
- ষোল আনাই লাভ।
স
- স‘য়ে থাকলে র‘য়ে যায়।
- সংসর্গজা দোষগুণা ভবন্তি।
- সংসার আনন্দময় যার মনে যা লয়।
- সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে ।
- সকল নোড়াই শালগ্রাম হলে হলুদ বাটি কিসে?
- সকল পাখিতেই মাছ খায়, নাম পড়ে মাছরাঙার।
- সকল ব্রতই করলে যশী, বাকি আছে ভীম একাদশী।
- সকালে পেঁয়াজ খাইলে বৈকালেও ঢেউক আইয়ে।
- সখা যার সুদর্শন[কৃষ্ণ] তার সঙ্গে কি সাজে রণ?
- সখি লো সখি আপনার মান আপনি রাখি।
- সুখে থাকতে ভূতে কিলোয়।
- সুখের ঘরে রূপের বাসা।
- সুখের চেয়ে স্বস্তি ভাল।
- সুখের প্রাণ গড়ের মাঠ।
- সঙ্গ দোষে কি না হয়, ছুঁচো ছুঁলে গন্ধ হয়।
- সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে।
- সজনে শাক বলে আমি সকল শাকের হেলা, আমার খোঁজ কেবল টানাটানির বেলা।
- সজনে শাকে নুন জোটে না, মসুর ডালে ঘি।
- সুঁচ গড়তে জানে না, বন্দুকের বায়না নেয়।
- সুঁচ গলে না কোদাল চালায়।
- সুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোনো।
- সুঁচ, সোহাগা, সুজন, ভাঙ্গা গড়ে তিনজন।
- সুজন-পিরিত সোনা, ভেঙে গড়া যায়;কুজন-পিরিত কাচ, ভাঙিলে ফুরায়। সুদিনের বারো ভাই, কুদিনের কেউ নাই।
- সূর্যের চেয়ে বালু গরম।
- স্ত্রিয়াশ্চরিত্রং পুরুষস্য ভাগ্যং দেবা ন জানন্তি কুতো মনুষ্যাঃ।
- স্ত্রী ভাগ্যে ধন, পুরুষ ভাগ্যে জন।
- স্ত্রী রত্নং দুষ্কুলাদপি।
- স্ত্রীবুদ্ধি প্রলয়ংকরী।
- সতী হল কবে, সে মরেছে যবে(মৃত্যুর পরে সতীত্বের নিশ্চয়তা প্রাপ্তি)। সত্যের দ্বারে আগড় নাই।
- সদরে সূঁচ চলে না, মফস্সলে[মফঃস্বল] হাতি চলে।
- সন্দেশের খোসা ফেলে খাওয়া।
- সন্ন্যাসীর অল্প ছিদ্র গায় সর্বজন, শুভ্রবস্ত্রে মসীবিন্দু দেখায় যেমন।
- সন্নেসি চোর, না বোঁচকায় ঘটায়।
- স্পষ্ট কথায় কষ্ট নাই।
- সফরী ফর্ফরায়তে। অগাধজলসঞ্চারী বিকারী ন চ রোহিতঃ; গণ্ডূষজলমাত্রেণ সফরী ফর্ফরায়তে।
- সব কাজে যার হুঁশ, তারে কয় মানুষ।
- সব জন্তু মোট বয় ধরা পড়েছে গাধা।
- সব ঝিনুকে মুক্তা নেই।
- সব ভালো যার শেষ ভালো।
- সব রসুনের একই কোয়া।
- সব শিয়ালের এক রা।
- সব শেয়ালে কাঁটাল খেলে বকের মুখে আঠা।
- স্বদেশের ঠাকুর, বিদেশের কুকুর।
- স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধর্মো ভয়াবহঃ।
- স্বনামা পুরুষো ধন্যঃ।
- স্বভাব যায় না ম‘লে, ইল্লত যায় না ধুলে।
- স্বভাবে করে না অভাবে করে।
- স্বর্গ হতে পাওয়া।
- স্বর্গে তুলে দেওয়া।
- স্বর্গে দাসত্ব অপেক্ষা নরকে রাজত্ব ভাল।
- সবুরে মেওয়া ফলে।
- স্বল্পা বিদ্যা ভয়ংকরী।
- সবাই কৃষ্ণের নাম করে আমি বললেই মারে।
- সবাইকে পারা যায়, পায়ে পড়াকে পারা যায় না।
- স্বর্ণকারের খুটখাট কামারের এক ঘা!
- স্বামী নাই, পুত্র নাই, কপালভরা সিঁদুর, ধান নাই, চাল নাই, গোলাভরা ইঁদুর।
- স্বামীর কিবা সুখ, পৌষমাসে ভাতের দুখ।
- স্বামীর মা শাশুড়ি, তারে বড় মানি, কোথা হতে এলেন আমার খুড় শাশ-ঠাকুরানী।
- স্রোতে ঘা ঢালা।
- সবে কলির সন্ধে।
- সবে ধন নীলমণি।
- সমুদ্রে পাতিয়া শয্যা শিশিরে কি ভয়?
- সমুদ্রে পাদ্য অর্ঘ্য।
- সমুদ্রের জল বাড়েও না কমেও না।
- সম্পূর্ণকুম্ভো ন করোতি শব্দম্।
- সময় কারও হাতে ধরা নয়।
- সময়গুণে আপন পর, খোঁড়া গাধার ঘোড়ার দর।
- সময়ে না দেয় চাষ, তার দুঃখ বারোমাস।
- সময়ের এক কথা অসময়ে শত।
- সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়।
- সর্বঃ কান্তমাত্মীয়ং পশ্যতি।
- সর্বমত্যন্তগর্হিতম্।
- সৎসঙ্গে স্বর্গবাস অসৎসঙ্গে সর্বনাশ।
- সস্তার তিন অবস্থা।
- স-সে-মি-রা[চারটি সংস্কৃত শ্লোকের প্রথম অক্ষর]।
- সাজতে গুজতে দোল ফুরাল।
- সাত কুঁড়ের ঘর গোঁসাই রক্ষা কর।
- সাত কাণ্ড রামায়ণ পড়ে সীতা রামের পিসি।
- সাত খুন মাফ।
- সাত ঘাটের জল একঘাটে করা।
- সাত ঘাটের জল খাওয়া।
- সাত ঘাটের জল খাওয়ানো।
- সাত চড়ে মশা মারা।
- সাত চড়ে রা‘ কাড়ে না।
- সাত নকলে আসল খাস্তা।
- সাত পাঁচ খতিয়ে মনে, চাষ করে না সোনার বেনে।
- সাত বার খেয়ে একাদশী।
- সাত মন তেলও পুড়বে না রাধাও নাচবে না।
- সাত রাজার ধন এক মানিক।
- সাত সতীনে ঘরকন্না, বাড়ির গিন্নি ভাত পান না।
- সাত সতীনে নড়ি চড়ি, বেড়া আগুনে পুড়ে মরি।
- সাত সমুদ্র তের নদী পার।
- সাঁতার দিয়া সিন্ধু পার।
- সাঁতার না জানলে বাপের পুকুরেও ডুবে মরে।
- সাতেও না পাঁচেও না।
- সাধ কত ছিল রে চিতে, মলের আগে চুটকি দিতে।
- সাধুনাং দর্শনং পুন্যম্।
- সাধলে জামাই কাঁটাল খান না, শেষে জামাই খোসা পান না।
- সাধলে জামাই খায় না কাঁঠাল, ভোতা[কাঁঠালের দণ্ড] নিয়ে টানাটানি।
- সাধে কি আর বাবা বলি গুঁতোর চোটে বাবা বলায়।
- সাধের কমল তুলতে গিয়ে হাতে ফুটল কাঁটা।
- সাধের কাজল পরতে গিয়ে চক্ষু হল কানা।
- সানাইয়ের পোঁ ধরা।
- সাপ ম‘লেই সোজা।
- সাপ মারলে শিবের লাগে।
- সাপ যেখানে নেউল সেখানে।
- সাপ হয়ে দংশে ওঝা হয়ে ঝাড়ে।
- সাপও মরে লাঠিও না ভাঙে।
- সাপকে দুধ খাওয়ালেও বিষ কমে না।
- সাপে ডরায় ব্যাঙাকে, ব্যাঙা ডরায় সাপকে।
- সাপের ছুঁচো গেলা।
- সাপের পাঁচ পা দেখেছ?
- সাপের লেখা বাঘের দেখা।
- সাপের লেজে পা দেওয়া।
- সাপের হাঁচি বেদেয় চেনে।
- সাবধানের মার নেই।
- সারা দিন থাকব নায়, কখন দিব খড়ম পায়?
- সারা দিন বঁড়শি হাতে, সন্ধেবেলা আমড়া ভাতে।
- সারা দিন যায় হেসে খেলে, সন্ধেবেলা বৌ কাপাস(কার্পাস তুলো) ডলে।
- সারা রাইত মারলাম সাপ- জাইগ্যা দেখি দড়ি।
- সিংহের বেটা শেয়াল হয় না।
- সিংহের ভাগ শেয়ালে খায়।
- সিধে আঙুলে ঘি ওঠে না।
- সিন্দুকের কাছে ধার করা।
- সিন্নি দেখে এগোয়, কোঁৎকা দেখে পিছোয়।
- সে কহে বিস্তর মিছা, যে কহে বিস্তর।
- সে কাল গেছে বয়ে, এঁটে কচু খেয়ে।
- সে গুড়ে বালি।
- সে বড় কঠিন ঠাঁই গুরু শিষ্যে দেখা নেই।
- সে রামও নাই, সে অযোধ্যাও নাই।
- সেই কড়ি ক্ষয় তবু বৌ সুন্দর নয়।
- সেই গাধা জল খায়, তারে ঘুলিয়ে ঘুলিয়ে নেয়।
- সেই তো মল খসালি, তবে কেন লোক হাসালি?
- সেই ধানে সেই চাল, গিন্নি বিনে আলথাল।
- সেই বুড়ি নাচে কত কাচা কাচে।
- সেকরা বাড়ির বিড়াল ঠুকঠুকুনিতে ভয় পায় না।
- সেকরার ঠুকঠাক কামারের এক ঘা।
- সেধে পেড়ে ভাব, আর মেজে ঘষে রূপ।
- সেধো ভাত খাবি, না হাত ধুয়ে বসে আছি।
- সেয়ানে ঠকলে বাপকেও বলে না।
- সোজা আঙুলে ঘি ওঠে না।
- সোঁদর বনের বাঁদর রাজা।
- সোনা ফেলে আঁচলে গেরো।
- সোনা বলে জ্ঞান ছিল, কষিতে পিতল হল।
- সোনার আংটি আবার ব্যাকা-সুজা।
- সুনার আংটি আবার ব্যাকা-সুজা।
- সোনার উপর মিনের কাজ।
- সোনার ওজন কুঁচের সহিত।
- সোনার থালে ক্ষুদের জাউ।
- সোনার দাঁড়ে কাক বসানো।
- সোনার লঙ্কা ছারখার।
- সোমে বুধে ধানের গোলায় না দিও হাত, ধার করে খেও ভাত।
- সৌরভে ভ্রমর মজে।
হ
- হংসমধ্যে বকো যথা।
- হাঁ কর তুমি, বত্রিশ নাড়ি গুনি আমি।
- হওয়া ভাতে কাঠি।
- হক কথা বলব, বন্ধু বেগড়ায় বেগড়াবে, পেট ভরে খাব, লক্ষ্মী ছাড়ে ছাড়বে। হক কথার মার নেই।
- হক কথাতে আহাম্মক রুষ্ট।
- হবু ছেলের অন্নপ্রশান।
- হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী।
- হয় না হয় বিয়ে, ঢাক বাজাও গিয়ে।
- হয় যদি তিলটা, কয় তবে তালটা।
- হয়কে নয়, নয়কে হয় করা।
- হ্যাঁপায় পড়ে ট্যাপা ভাসে স্রোতে।
- হরি ঘোষের গোয়াল।
- হরি বড় দয়াময়, কথায় বটে কাজে নয়।
- হরি বাঁচান প্রাণ বৈদ্যের বাড়ে মান।
- হরির খুড়ো মাধাই দাস(সম্পর্কহীন)।
- হরে দরে হাঁটু জল।
- হলুদ জব্দ শিলে, ঝি/বউ জব্দ কিলে, পাড়াপড়শি জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে।
- হলুদ গুঁড়ো, নুনের গুঁড়ো(সকল কাজে হস্তক্ষেপ করা লোক)।
- হা‘ল ছেড়ে দেওয়া।
- হা‘ল যদি ধরে ঠেসে, যায় কি তরী তুফানে ভেসে?
- হা‘লে পানি পায় না।
- হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না।
- হাগা নাই গোয়ার ডাক কত!
- হাগুন্তির লাজ নাই, দেখুন্তির লাজ।
- হাজার টাকা দিলেও কাটা কান জোড়া লাগে না।
- হাঁটবার আগে হামাগুড়ি।
- হাটে কলা নৈবেদ্যায় নমঃ।
- হাটে কি দর চাল, না মামার ভাতে আছি।
- হাটে গেল কার মা, দেখে এল বাঘের পা।
- হাটে হাঁড়ি ভাঙা।
- হাড় এক ঠাঁই মাস এক ঠাঁই করা।
- হাড় খাব মাস খাব, চাম দিয়ে ডুগডুগি বাজাব।
- হাঁড়ির ভাত একটা টিপলেই সবার খবর মেলে।
- হাড়ে ভেলকি খেলে।
- হাত ঝাড়লে পর্বত।
- হাত দিয়ে জল গলে না।
- হাতি কাদায় পড়লে চামচিকেও লাথি মারে।
- হাতি পড়লে আড়ে চামচিকেতেও লাথি মারে।
- হাতি ঘোড়া গেল তল, ভেড়া বলে কত জল?
- হাতি চড়ে ভিক্ষে মাঙি, ইচ্ছেয় না দাও ঘর ভাঙি।
- হাতি দিয়ে হাতি ধরা।
- হাতি পড়েছে দকে, ঠোকর দিচ্ছে বকে।
- হাতি পাঁকে পড়লে হাতিই উদ্ধার করে।
- হাতি মরলেও গাধার চেয়ে উচা থাকে।
- হাতি মরলেও লাখ টাকা।
- হাতি মলে‘ও ঘোড়ার দুনো।
- হাতির কাঁধে আসে যায়, হাম্বারবে মুচ্ছো যায়।
- হাতির দম্ভ চূর্ণ হয় পাহাড়ের কাছে।
- হাতে কড়ি পায়ে বল, তবে যাই নীলাচল।
- হাতে কালি মুখে কালি বাছা আমার লিখে এলি?
- হাতে দই পাতে দই, তবু বলে কই কই?
- হাতে না মেরে ভাতে মারা।
- হাতে নেই কানাকড়ি, করে বেড়ায় বাড়াবাড়ি।
- হাতে পাঁজি মঙ্গলবার।
- হাতে মাথা কাটা।
- হাতে যদি নাই ধন, পাঁচে হও এক মন।
- হাতে যদি ফল পাই, তবে কি আঁকশি চাই।
- হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না।
- হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা।
- হাতের শাঁখা দর্পণে দেখা।
- হাতেরও যাবে পাতেরও যাবে।
- হাভেতে যবে ফকির হল, দেশেও মন্বন্তর এল।
- হাভেতের দুনো গ্রাস।
- হায় রে আমড়া, কেবল আঁটি আর চামড়া।
- হারিয়ে তারিয়ে কাশ্যপ গোত্র।
- হারিলে ঘরের ভাত, জিতিলেও তাই।
- হালে বয় না, তেড়ে গুঁতোয়।
- হিঁদু যদি মুসলমান হয়, মুরগি খেতে কম নয়।
- হিঁদু মোছলমান হলে গরু খায় গিলে গিলে।
- হিসেবের গরু বাঘে খায় না।
- হেলায় কর্ম নষ্ট, বুদ্ধি নষ্ট নির্ধনে, যাচনে মান নষ্ট, ভোজন নষ্ট দই বিনে।
- হেলে ধরতে পারে না কেউটে ধরতে যায়।
- হেলে যায় চষতে, বামুন যায় বসতে।
- হেলে যায় হাল নিয়ে, বিধাতা যায় তুল[তুলাদণ্ড] নিয়ে।
- হেসে হেসে কথা কয় সে হাসি তো ভালো নয়।
- হোদল বনে শিয়াল রাজা
No comments:
Post a Comment