আঞ্চলিক প্রবাদঃ নওগাঁ

লোক প্রবাদ ।। নওগাঁ অঞ্চল
সংগ্রহ: কাজী রাহাত

[লোক প্রবাদগুলো সংগ্রহ করেছি দীর্ঘ এক দশক ধরে নওগাঁ জেলার প্রায় সব উপজেলা ঘুরে ঘুরে। প্রবাদ সংগ্রহ করতে যেয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন জনের সহযোগিতা পেয়েছি। সবার আগে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় ডা: শরিফুল ইসলামের নাম। তাঁর চেম্বারে বসে নিজের কাজের ফাঁকে ফাঁকে বহু মানুষের সাথে কথা বলে অসংখ্য প্রবাদ সংগ্রহ করে দিয়েছেন আমাকে। ফেসবুক বন্ধুদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় ডা: চঞ্চল দেবনাথ ও মো: রাশেদুল ইসলাম নেকভীর নাম। তাঁরা দূর থেকে প্রেরণা যুগিয়েছেন কাজটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য। কাজটি ফেসবুকে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করে অনেক বন্ধু প্রেরণা দিয়েছেন। বিশেষভাবে উল্লেখ করছি নওগাঁ পরিষদ/ বিউটি অফ নওগাঁ এর। শেয়ারের মাধ্যমে তাঁরা তুলে ধরেছেন আমার সংগ্রহ সমষ্টিকে। চলতি পথের গণমানুষ এ কাজের মূল প্রেরণা। তাঁদের সাথে কথা বলে বলে সংগ্রহ করেছি অনেক প্রবাদ। সবশেষে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হচ্ছে জনাব ওবায়দুল হক সাহেবের নাম। তাঁর মুহূর্মুহু তাগিদ আমার আলসেমিকে হঠিয়ে এ কাজকে একটি সামগ্রিক সফল রূপ দিয়েছে।

প্রবাদগুলোতে কিছু অশ্লীল শব্দের মিশ্রণ আছে। নওগাঁ অঞ্চলের মানুষ হরহামেশা এসব প্রবাদ ব্যবহার করে কথায় ও কাজে। এখানে এডিটিং করলে তা মূলকে হারাবে বলে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে।]

সংগৃহিত ৫০০ + প্রবাদ নিয়ে প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হল। সংগ্রহ চলতে থাকবে পরবর্তি সংস্করণের জন্য। পরবর্তি সংস্করণে প্রবাদগুলোর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করা হবে। আসলে এটি একটি টিম ওয়ার্ক, একের পক্ষে এ কাজ সফলভাবে সমাপ্ত করা দূরূহ বটে। চেষ্টা চলতে থাকবে, আপনাদের সকলের সহযোগিতায় কাজটি একদিন পূর্ণ রূপ লাভ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।]

1। অদেকল্যার গাছত আম ধরলে সকাল বিকাল তালাশ।
2। অদেকল্যার গাছত লাউ ধরিছে, তোলা ব্যাগড়ে বুড়া হছে।
3। অদেকল্যার হল ব্যাটা, নাড়ি কাটতে চ্যাঁট কাটা।
4। অল্পেত চোষে, বেশিত পোষে।
5। অস গ্যাল বস গ্যাল, গ্যাল মুখের হাসি।
6। অ্যাগল্যা হাল যেদিক দিয়া যায়, প্যাছল্যা হাল ঐদিক দিয়াই যায়।
7। অ্যাবা কালের নাঙে বলে ক্যামন আছিন মাসী।
8। অ্যাব্যা কালে বিয়া আছে, নিদান কালে মরণ আছে।
9। অ্যালস্যার খলি যায় ভ্যাস্যা।
10। আঁটো ঘর ঘন ভাসুর, তার মধ্যে মামা শ্বশুর।
11। আঁড়ি ম্যাগীর ফাঁরি বেশি।
12। আকাশ দিয়া ঢ্যাল যায়, পাছা প্যাত্যা ধ্যরা ল্যায়।
13। আক্কেল দোষে বিপরীত ফল, মোশা মারতে গালত চর।
14। আগা ছ্যাড়্যা পাছাত গিঢ়া।
15। আগাবেলার রোদে ধান না শুকালে পাছাবেলার রোদে ধান শুকায় না।
16। আগারডাও লিমো, গোড়ারডাও হামার।
17। আগুরে ডাগুর ভাল।
18। আগে গেলে বাগে খায়, পিছে গেলে সোনা পায়।
19। আগের কথা পাছে কয়, সে বান্দা আল্লার লয়।
20। আগের চায়ে পিছে ভাল যদি ডাকে মায়ে।
21। আজ বুজবু না বুজবু ক্যাল, গাল ধর‌্যা প্যারবু গ্যাল।
22। আজাগাত ঘাও, ভাসুর ডাক্তার; না যায় কওয়া, না যায় সওয়া।
23। আজারা গোয়া কুন্দিকাত চরে নাচে।
24। আটার সাঁতে ঘুন যায়।
25। আদা ক্যতেই আদমি বোঝে, পুরা ক্যলে গ্যা গাধা বোঝে।
26। আদা খ্যাবে যাঁই, ঝালে বুজবে তাঁই।
27। আন ক্যতে ধান শোনে, দুপরার সোমে তারা গোনে।
28। আন্-জুয়েল ঘড়ি, কাঁচা কাঁঠাল, গাবীন গাই; এই তিন জিনিসের বিশ্বাস নাই।
29। আন্দি (রাঁধি) ভাত ধীরে, কুটুম বিদায় করে।
30। আমও গ্যালো, ছালাও গ্যালো।
31। আয়ে সুতার, ব্যা আয়ে কামার।
32। আর যাই হোক, জোড় ক্যর‌্যা পিরীত হয় না।
33। আল্গত খাওয়া আর সুল্গত নাচা।
34। আল্লা আল্লা করাই সার, নবি নাই ঘরে; সোনার টুপি মাথাত দিয়া বাগুন চুরি করে।
35। আল্লাদের ধুতি, দুই মুড়্যা ছিঁড়্যা গেলে পিন্দিমু কুতি।
36। আল্লার ঘর, ভ্যাল্লার পায়ী।
37। আশা করি বড়, বাসা করি ছোট।
38। আশি কালের বাসি বুড়ি।
39। আহম্মক নাম্বার এক, ঘরের বউকে পরিচয় করিয়ে দেয়- এড্যা হামার বউ, দ্যাক।
40। আহম্মক নাম্বার চার, কান কথায় কান দিয়া বউয়েক করে ঘরের ব্যার।
41। আহম্মক নাম্বার ছয়, নিজের যত গোপন কথা বউয়েক ধর‌্যা কয়।
42। আহম্মক নাম্বার তিন, ছোটলোকের কাছে করে ঋণ।
43। আহম্মক নাম্বার দুই, নদীর কিণারে কিনে ভুঁই।
44। আহম্মক নাম্বার পাঁচ, প্যাটের বাড়িত করে প্যাটালির কাজ।
45। আহম্মক নাম্বার সাত, বউয়ের সাঁতে রাগ কর‌্যা সারাদিন খায় না ভাত।
46। আহার, নিদ্রা, ভয়; বাড়ালে বাড়ে, কমালে কম হয়।
47। ইটাতো মোন, পিটাতো মোন?।
48। উছানা সজুত হয় কামার বগী ক্ষয় গেলে।
49। উট্যা গ্যাছে পাছার চাম, লিচ্যাম্যা কুত্তার বাঘা নাম।
50। উট্যা যাচ্চে পাছার চাম, তাও যাচ্চে না হরির নাম।
51। উড়াৎ দেকায়ে কয় মাস ঘুরাবু?।
52। উড়াতত নাই বাল, কপালত সিঁথি।
53। উলঙ্গের কিসের ইজ্জতের ভয়?।
54। এ কতা ও কতা, দেডে বু অ্যানা আলাপাতা।
55। এক চোখে তেল, আর এক চোখে নুন বেচা।
56। এক জন করে দশ জন খায়, ইন্ডার উপর পিন্ডা উট্যা যায়।
57। এক টাকা হোক কামাই, গাবী যেন না হয়।
58। এক টাকার শোক, আর এক ব্যাটার শোক।
59। এক ধারে কাটে আর এক ভারে কাটে।
60। এক বাপের এক ব্যাটা, হয় বোকা, না হয় ঠ্যাঁটা।
61। এক বার হ্যাগলে দু:খি, দুই বার হ্যাগলে সুখি, তিন বার হ্যাগলে রুগী।
62। এক লায়ে সয়, আর এক মায়ে সয়।
63। এক সোহাগীর সাত ভাতার, তাও সোহাগীর মন ব্যাজার।
64। এমনি লাচোনি বুড়ি, তার উপুর ঢাকত বারি।
65। এ্যাত লালী আদেসের লয়।
66। কইনি জাঁইক মারো, যাতে সোজা হয় সেই ব্যবস্তা করো।
67। কতা কমো ওঁতে-ঘাতে, দ্যাকা হলে তোর সাঁতে।
68। কথায় কথা বাড়ায়, ছালুনে ভাত খাওয়ায়।
69। কপাল করিছি দুখতা, প্যাট করিছি সুখতা।
70। কপাল যদি হীনত পড়ে চামচিকাও ধ্যর‌্যা ড্যাব্যাই।
71। কপালার কপাল বিরামদির বাল।
72। কপালে আছে হাড়, কী করবে চাচা সাকিদার?।
73। কয়নি আলা বড় লয়, সয়নি আলা বড়।
74। করে না মাই মলে সারা রাত কুয়ারা করে।
75। কর্তার পাদের গন্ধ নাই।
76। কলিকাল ছাগলে চাটে বাঘের গাল।
77। কাঁই ছাড়া আলু নাই, মাই ছাড়া মানুষ নাই।
78। কাঁচা বাঁশ, নদীর ধারে বাস, নারীর মুখের হাঁস- এই তিনে সর্বনাশ।
79। কাউয়ার উপর কামানের গুলি।
80। কাঙালের চাইতে জঞ্জাল ভাল।
81। কানাক চ্যাঁট দ্যাকালে পাপও নাই, পুণ্যিও নাই।
82। কানার আবার রাতই কি আর দিনই কি?।
83। কান্দে কান্দে না মিশলে কুটুম্বিতালী হয় না।
84। কাপড়ের তলে সবাই ল্যাঙটা।
85। কাম করা লয়, চিত্তি পুরান; ঢিকি দিয়ে কান চুল্কান।
86। কাম থুয়্যা মারে মাছ, অলক্ষী লাগে পাছ।
87। কাম নাই পাঁটার মকমকিই সার।
88। কামত নাই হোকম-তোকম, খালি আছে মোক চোদন।
89। কামত পারে না, বন্দুক ঘাড়ত ল্যায়।
90। কামত পারে না, বন্দুক ল্যায় ঘাড়ত।
91। কামে কুঁড়্যা, ভোজনে ডের‌্যা।
92। কিনা মুরগীর ঠোঁটহিনি গোস্ত।
93। কুটুমের চোখ মারি, বাড়ির লোক কানা, মুরগীয়ে পায়াখানা করে বাড়ির মানুষ চোখে দেখে না।
94। কুড়কুড়ি মরবে, নাঙে বাড়ি ছ্যাড়বে।
95। কুত্তাক ল্যাপের ভিতর থুলেও ছাইয়ের ঠিকিত য্যাবে।
96। কুত্তায়ে শোঙ্গে না, বটতলার উকিল।
97। কুত্তার কামড় হিঁটুর নিচে।
98। কুত্তার গু, বামুনের নাড়ি; হাত পাও ধুয়া পান্তা বাড়ি।
99। কুত্তার ল্যাজত পাটা ব্যান্দ্যা দিলেও সোজা হয় না।
100। কুরুচ লিয়া ল্যক কর‌্যা থাক।
101। কুলের কালিও ভাল।
102। কোটকার কে, লাঠি ঢুক্যা দে।
103। কোটত গেলে দুবলার ঘাসেও ট্যাকা চায়।
104। ক্যলে কতা উচিৎ হাত য্যায়্যা পড়ে ভুঁচিত।
105। ক্যলে মায়ে ম্যার খায়, না কলে বাপে হারাম খায়।
106। ক্যাঁচ্যা ছ্যল, বউ-ঝি আর বকরি-গরু; যেটি বারণ, সেটিই গমন।
107। খাটো মোছলমান, ধলো বামুন, কালো হাড়ি- এই তিন শালাই বজ্জাতের তারি।
108। খাবা জানলে চাউলই চিরা, বসপ্যা জানলে মাটিই ফিঁড়া।
109। খাবি তে খ্যাস ন্যা, না খাবি তে খা।
110। খায় দায় ললি চোষে, শরীল হয় না আক্কেল দোষে।
111। খালি পানে স্বাদ লাগে না, স্বাদ লাগে চুনে, রূপ দেখে মন ভোলে না, মন ভরে তার গুণে।
112। খুঁড়ার শাগত বাল প্যাছু, যা কবু তাই?।
113। খুলু জ্যাত, আন্দারী রাত; পকুরের পাড়ত, লাঠি ঘাড়ত।
114। খোঁড়া ঘোড়ার কদম চাল বেশি।
115। খোজার গপ্প বোজা বোজা।
116। খ্যায়্যা উটা হাগে, কোন কাজে না লাগে।
117। খ্যালে দুধের সর, দেকলে বিয়ার বর।
118। গরম ভাতে বিলাই ব্যাজার।
119। গরীব যায় করব্যা, কুত্তা লাগে ভুগব্যা।
120। গরীবের ফুটানি বেশি।
121। গাঁওতই মুকত পড়ে না, বিদেশে গোয়াত ধরে না।
122। গাই বাছুর ঠিক থাকলে দুধের অভাব নাই।
123। গাছ প্যাকলে সার আর মানুষ প্যাকলে অসার।
124। গুড়া দিয়া বলদ ধরা।
125। গুয়ের ঠিকিত ঢ্যাল দিয়া একটেকার গু সাতটে হয়।
126। গুরু যা করে তা করো না, গুরু যা কয় সেড্যা কর।
127। গুরুর কতা ল্যায় না কানে, জিউ যায় তার পুটকির টানে।
128। গোয়া ন্যাঙট মাথা ঘোঙট।
129। গোয়া ভাল লয় পেজ খায়, মুরগীত চ’র‌্যা মক্কাত যায়।
130। গোয়াও মারবে আবার হোলের ভাড়াও লিবে।
131। গোলাও কমাবু ন্যা, ছ্যলও ক্যানব্যা দিবু ন্যা।
132। গ্যাঁড়ত নাই আটা, পেঁজ বাড়ি দিয়ে ঘাঁটা।
133। গ্যাঁড়ার বাড়িত গ্যাঁড়া যায়, গ্যাঁড়া আন্দে গ্যাঁড়া খায়।
134। ঘরতও ঢুকপু আবার উড়াৎও কাঁপাবু?।
135। ঘরে আছে বিভীষণ, ক্ষতি হতে কতক্ষণ?।
136। ঘোড়ার আগে গেলে কামড় মারে, পাছে গেলে লাত্তি মারে।
137। চাওয়া চিন্তা জিনিসের কাঁড়াই কী আকাঁড়াই কী?।
138। চিনলে জড়ি, না চিনলে জঙ্গলের খড়ি।
139। চিরা বল মুড়ি বল ভাতের মত লয়, চাচী দ্যাক ফুবু দ্যাক মার মত লয়।
140। চিলে যদি ছোঁ দ্যায়, কিছু না প্যালেও খরকুটা ল্যায়।
141। চিলের ভয়ে বিলেত যায়, সেটি ওকসা ধর‌্যা খায়।
142। চুন খ্যায়্যা মুক পুড়লে দই দেক্যাও ভয় লাগে।
143। চোর ভাল তাও বেকুব ভাল নয়।
144। চোরক দেকাইও না বাড়ি আর বৈদ্যক দেকাইও না নাড়ি।
145। চোরের ধন বাটপারে খায়, হ্যাদ্যা হ্যাদ্যা পরাণ যায়।
146। চোরের ভয়ে বউ ন্যাঙট।
147। চ্যকত থুত্যা দিয়া কান্দা।
148। চ্যাঁটের কপালে ভ্যাঁটের খই।
149। চ্যাঁটের কোন ধর্ম নাই, প্যালেই খাই প্যালেই খাই।
150। চ্যাংড়াপ্যাঙড়ার হাতত থাকে লোয়া, শয়তানে মারে গোয়া।
151। চ্যাঙড়া প্যাঙড়া নাঙ, ঘর দুয়ার ভাঙ।
152। চ্যায়াচিন্তা খাই, কারো দুয়ারত না যাই।
153। ছলের নাম পোয়াতীর কাম।
154। ছিঁচা পানি মিছা।
155। ছোট নদির তরঙ্গ নাই তরঙ্গ দ্যাক খাড়ির, ভাল ম্যানষের ঠাট নাই ঠাট দ্যাক হাড়ির।
156। ছোট মিয়া ছোট মিয়া, কোন গাছের আম? চোদাইও না বড় ভাবি, লোদা গাছের আম।
157। ছ্যল যদি হয়, পাটা মোছা খ্যালেই হয়।
158। ছ্যলডা বড়ই বোজে, এক জোনের কাছে ধার লিয়া আর এক জোনক সোজে।
159। ছ্যলপ্যল লষ্ট হাটে-বাজারে, বউ লষ্ট নদীর ঘাটে।
160। ছ্যাড়্যা দিয়া ধ্যার‌্যা ধরা।
161। জনম গ্যাল কচু খেতে, গাও চুলকায় আউশের ভাতে।
162। জমি আলার সাঁতে হাতী আলা পারে না।
163। জমি কর ক্যান্দর আর বউ কর বান্দর।
164। জমির মদ্যে লালী আর কুটুমের মদ্যে শালী।
165। জাঁয়ি-জরা চদ্য পুরুষের ঘোড়া।
166। জাতের ঢাঁসা, বাঁশের ট্যারা।
167। জায়ের গু জায়ে খায়, নন্দের গু গড়াগড়ি যায়।
168। জালমাছের পিটত কুঁজ, অ্যাটা-কচু দিয়া স্বাদ বোজ।
169। জিংক্যা জাতের সিংক্যা বোজে।
170। জুয়া-পাশা-তাস, এই তিনে সর্বনাশ।
171। জেদের ভাত খাওয়া ভাল।
172। জোঁকের গায়ে জোঁক লাগে না।
173। জোড়া আর তালি, এই নিয়ে গৃহস্থালী।
174। জোয়ে জো ধরা।
175। জ্বরে বউ ন্যাঙটা হচে, সেই থ্যাক্যা অব্যাস হচে।
176। ঝড়ে বক পড়ে, ফকিরের ক্যারামতি বাড়ে।
177। ঝাঁজর কয় সুঁই রে তোর গোয়া ক্যান ফুটা?।
178। ঝাঙড়ে ঝাঙড়ে ম্যাট্যাল কাদ।
179। ঝোলার চাউল খোলাত দিয়া খাওয়া।
180। টিটা মুরগীর দানাঘোড়া বড়।
181। ট্যাকার এ্যাডা কামড় আছে, যাঁই সয় তাঁই মরদ।
182। ট্যাকার ঘাও কলজ্যার গোড়ত।
183। ঠোকা দিয়া ধুন বুঝা।
184। ঠ্যালা প্যালে মুত চাপে, চোদন দেখলে হাগা চাপে।
185। ঠ্যালাত পলে ধান লিবু না চ্যাল লিবু?।
186। ঠ্যালার নাম কুমড়া বড়ি।
187। ঠ্যালার নাম বাবাজি।
188। ডাক দে হারুক, গোয়াডা মারুক।
189। ড্যাল দিয়া ভাত খামো, বিলিক কাঁচকলা দ্যাকামো।
190। ঢিল বিক্রি পুঁজি নাশ।
191। ঢুলির ঢোল না থাকলে প্যাট বাজায়।
192। ঢ্যালে কুকুর খাঙ্গার ক্যরে এ্যাকোন বরে পারছু ন্যা?।
193। তপ্ত খিলামো, রক্ত হাগামো।
194। তলে তলে বউ কলা খায়, এত কলা বউ কোন্টে পায়?।
195। তালসোনা ঝিয়ারি, মালষোনা বড়; বিয়ার রাত না পোয়াতেই খোঁজে ভিংটা ঘর।
196। তিক দিবার সবাই আছে, ভিক দিবার কেউ নাই।
197। তিন দিনকার জ্বরে, বউ মরল ঘরে।
198। তিন মাথা ছয় কান, যেটি যাবু অপমান।
199। তিল কুড়িয়ে তাল হয়।
200। তুড়–ৎ জব মহাপুণ্যি।
201। তৃষ্ণা আগায় না গঙা আগায়?।
202। তেতুল কখনও মিষ্টি হয় না, পর হয় না আপন।
203। তোর ঘাড় ক্যান ক্যাত, হামি একাই এক জাত।
204। তোর পাও ধরি না, তোর কামের পাও ধরি।
205। তোর ব্যাত কইতরের টোঙ, লিত্তি করি লিত্তি ঢং।
206। থাকল তোর তালের তাড়ি, চল্ল হরিদাস।
207। থাকলে লোচা লোচা, না থাকলে কুত্তার ভোঁচা।
208। থ্যাকে থ্যাকে ওটে বাত, কিব্যা অষুদ দিমো তাত।
209। থ্যাক্যা গরু না বয় হাল, তার দু:ক্কু চিরকাল।
210। দশ দিকে দশ ল্যাঠাল, এক দিকে এক গ্যাঁড়পেলু।
211। দাউলি বেচা খামো তাও ভাও কমামো না।
212। দাতার চেয়ে বখিল ভাল যদি তুড়–ৎ জব দেয়।
213। দাদা ক্যছে চুদির ভাই, আনন্দের আর সীমা নাই।
214। দাদার কান্দত আদার ভাড়।
215। দায়ে প্যড়া পায়ে হাত।
216। দিন যায় আলে-ঝালে, দুপুর রাত্তে কালি ডলে।
217। দুক্কে বাঁচি না দড়ি লাগায় কাত?।
218। দুক্কে বাড়ায় হোল, ম্যানষে কয় পাগল।
219। দুখতা শ্বশুড় বাড়ি যায়, দুক্কু সাঁতে সাঁতে যায়।
220। দুখতার কপাল যার, ছাতীন গাঁয়ের ভাতার তার।
221। দুধাল গাইয়ের লাত্তিও স্বাদ।
222। দুধে শক্তি ফলে বল, তা নইলে রক্ত হলাহল।
223। দুপরা কুটুম ডাল ভাত।
224। দো পাওয়ার হিত করতে নাই, হিত করলে বিপরীত হয়।
225। দৌড়্যা অ্যাস্যা প্যড়্যা ম্যল।
226। দ্যলা পকুরের ঘাট, বিদব্যা ম্যাগীর ঠাট, ভাঙ্গা খুড়্যার খাট।
227। দ্যাকাদেকি শ্যাঁকা লড়ে।
228। দ্যাশ বুজ্যা ভ্যাস, আচার বুজ্যা চাষ।
229। দ্যাশেত অ্যাল কল, ম্যায়ার গ্যাল বল, বাড়িত আছে বলদ, ধান লিয়া যায় কলত।
230। ধন জন জোয়ারের বাঁধ।
231। ধর্মের বাতি টিপ টিপ কর‌্যা জ্বলে।
232। ধাউপাউ ক্যর‌্যা জীবনের খয়, আল্লা দিলে অল্পতই হয়।
233। ধানের চিহ্ন লাড়াত পাওয়া যায়।
234। ধারের উপর ধার দেয় না , তাক বলি না সাহুদ, ন্যাড়ার কাপড় তুল্যা না চুলকালে তাকে বলি না দাউদ।
235। ধোম ধোম বিছনের কুড়া, বাপ থাকতে ব্যাটা বুড়া।
236। ধোয়া যায় না কুলের কালি, মোছা যায় না মনের কালি।
237। না কানলে মায়েও দুধ দেয় না।
238। না প্যাদলে বাসনা বাড়ায় না।
239। না প্যায়্যা গ্যা ভয়রা কুটুম।
240। না প্যায়্যা লাতিই ভাতার, লাতিক লিয়া গাঙত সাঁতার।
241। নাং এর আবার শরম।
242। নাং করার মন থ্যাকলে ভাতারের হাতত বাতি দিয়াও করা যায়।
243। নাং কালার আকাল নাই।
244। নাং নাই এই গাঁওত, নাং আছে তিলাবদু?।
245। নাই ভাত নুন দিয়া খা।
246। নাপিত দেখলেই ল্যগ বাড়ে।
247। নামে গগন ফাটে, হাঁড়ি প্যাল্ল্যা কুত্তায় চাটে।
248। নামে লক্ষী, কুড়ায় ধান।
249। নারী, গাড়ী, বাড়ী যখন যার, তখন তার।
250। নিজের গোয়াত গু থুয়্যা ম্যানষের গোয়া শুঙ্গ্যা বেড়ানো।
251। নিজের ধন পরেক দিয়া, দেবী মরে মারগত হাত দিয়া।
252। নিজের বুঝলে বাদশারও বোজা যায়।
253। নিজের শোতার জাগা নাই, সন্তোষির মাও তুই মদ্দে শোত।
254। ন্যাংড়া, খোঁড়া, আঁড়ি এই তিনড্যা বদমাইশের তারি।
255। পড়েছি ফাটালে, যা থাকে কপালে।
256। পরার বাড়ির পরার ভাত, ক্যাষ্ট্যা কতা বিষ্ট্যা পাদ।
257। পরের চোদা হারামজাদা।
258। পরের দিয়া পীরের ধার শোধ।
259। পলি আল্লার থলি।
260। পহেলা কুত্যা ঘরঘর বলে, দুসরা কুত্যা জরু কা ভাই, তেসরা কুত্যা নকরি কর্তা, চৌঠা কুত্যা ঘর জামাই।
261। পাগলের মাফ আছে, ভুলের মাফ নাই।
262। পাছা পাছা করিস ন্যা, পাছা বড় ধোন; পাছার জন্য পাগলা দুন্যার মহাজন।
263। পাছা মারা দিবে তাও নুনের খুঁরি অ্যাগ্যা দিবে না।
264। পাছায় পাছায় বাড়ি খায়, তিন পাছায়ে বিসমিল্লা কয়।
265। পাদে না পোচে চঙা চারেক মোতে।
266। পানিত ন্যামা থাও বুঝ।
267। পানিত মোতে, আন্দারত শোতে, ভাতের সাঁতে করে ওষ; এই তিন দোষে বান্দা মরে, আল্লাক দেয় দোষ।
268। পানের ধুলা, দুধের ছাই; এর কোন অষুদ নাই।
269। পাপ ছাড়ে না বাপ কে।
270। পায় না পচা পুঁটি, মাঙ্গে গোস্ত-রুটি।
271। পিট করিছি কুঁড়্যা, যত পারিস তত গুঁড়্যা।
272। পিট্যা খাবা মোন, ত্যালে কোম কোম।
273। পিট্যা খ্যালে ফোঁড় গুন্যা খ্যাস।
274। পিড়িতে মজিলে মন, কি বা হাঁড়ি কি বা ডোম।
275। পিড়িতের পেতনিও ভাল।
276। পুটকিত নাই চাম, হরে কৃষ্ণ নাম।
277। পুলিশের চাকরি বড়ই সুখের, দ্যাশত যদি না লাগে যুদ্ধ।
278। প্যড়া আছে বাঁড়ার বাল, তুল্যা লিলেই সরকারি মাল।
279। প্যড়া গেলে চ্যাঁটের পানি, স্যরা যা চুদমারানী।
280। প্যড়া প্যাছি, খুঁট্যা খাছি।
281। প্যাট ভরা থাকলে চিনিও তিতা লাগে।
282। প্যাটের খিদ্যাত ভাত না খ্যালে চ্যকের খিদ্যাত স্বাদ লাগে না।
283। প্যাটের দুক্কে নাং করি তাও আবার বাঁকি।
284। প্যাদব্যা পারে না, বন্দুক ল্যায় ঘাড়ত।
285। প্যাদার আবার শ্বশুড় বাড়ি।
286। প্যাল্ল্যা এক জাগায় থাকলে ঠোকাঠুকি ল্যাগবেই।
287। ফটিংয়ের গোয়াত ত্যাল ধরলে বাতিত পড়্যা মরে।
288। ফরগ ফারত, লাটি ঘাড়ৎ।
289। ফল খ্যায়্যা খায় জল, শরীল হয় দুর্বল।
290। ফলনাত নাই আটা, দইয়ক কয় মাটা।
291। ফলনার কাম ল্যগ দিয়া হয় না।
292। ফুরাল বাগানের আম কি খাবুরে হুনুমান।
293। বউ যদি ভাত খায়, অ্যাগন্যা খলা কত বড় সেড্যা দেকপে না।
294। বউয়ের সাথে না প্যার‌্যা বিলিক লাত্তি।
295। বড়লোকের জুতা ঢওয়ানাও ভাল।
296। বড়শিও লয়, টরশিও লয়- লাজে লোহা কোঁকড়।
297। বন্ধুর গোয়া বন্ধু মারে, কবা না প্যার‌্যা আউমাউ করে।
298। বয়স কালে নাতি মাজা ভাঙার লাঠি।
299। বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়।
300। বাড়ির মালিক কে? হাম; খাজনা দিবে কে? বাপ।
301। বাড়ির মুরগী ড্যাল ড্যাল।
302। বাপ কয় হাগমো হাগমো, ব্যাটা কয় বাজ্য করমো।
303। বাপ- জনমে দেকিনি গাই, চালুন লিয়া দুবার যাই।
304। বাপ মরলে বাবু, মাও মরলে কাবু।
305। বাম্নে বাক্কি করে, পাঁটা কয় মোর ভোচায় শোনে।
306। বার ক্যামলার ভাত নাই, দো-মনার উন্নতি নাই।
307। বার হাত বাঙির ত্যার হাত বিচি।
308। বাল তুলব্যা পারে না, মোশামদির নাম।
309। বাল দিয়া মানে না, থলের পরামাণিক।
310। বিদেশের ইলশার চেয়ে দেশের খলিসা ভাল।
311। বিন্যার ব্যাটা সুলতান সাহেব।
312। বিয়ার বিয়াল্লিশ কথা, লিকার কোন কথা নাই।
313। বিশে বিদ্যা, তিরিশে ধন; চল্লিশ হয়্যা গেলে লন্ঠনাঠন।
314। বুজা কয় বুজিনি, তাক বুজায় কে; না বুজা হোঁ হোঁ কয়, তাক ভুতে ধরিছে।
315। বুড়া বয়সে লাতি, আন্দার ঘরত বাতি।
316। বেল থাকতে হাঁট, ওত থাকতে খাট।
317। বেশি করে তামাশা, তার ধরে আমাশা।
318। বেশি খাতিরে প্যাট হয়।
319। বেশি গিতানে বউ লষ্ট।
320। বেশ্যার আবার তপস্যা?।
321। বৈরাগীর ক্যান গোয়ার মারান চোর ধারাবার যাওয়া?।
322। ব্যসপ্যা দিলে খাবার চায়, খাবার দিলে শুতপ্যা চায়।
323। ব্যাঁকা ভিঁয়ের অ্যাল, পোকড়া কালি ড্যাল, বুড়া ম্যানষের গ্যাল।
324। ব্যাঁট্যা খ্যালে অ্যাঁট্যা আসে।
325। ব্যাটা যায় সাইকেলত বাপেক কয় হ্যাঁট্যা চল, বাঙালী বাবুদের নবশিক্ষার ফল।
326। ব্যাড়ার আগুন খ্যাঁতাত লাগে।
327। ব্যানার বাড়িত ধুনার আকাল?।
328। ব্যান্দ্যা বকরী পাল দেওয়া।
329। ভয় করলেই ভয়, আদমদিকি চ্যায়্যা দেকলে কিচ্চু লয়।
330। ভাই আর বোন, জগতের ধন।
331। ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই।
332। ভাই সম্পর্ক ভাগত।
333। ভাইয়ে ভাইয়ে হয় কিন্তু গাইয়ে গাইয়ে হয় না।
334। ভাইয়ের অ্যাল না ছাইয়ের অ্যাল।
335। ভাইয়ের মত ভাতার চ্যালেই পাওয়া যায়?।
336। ভাগিরা খ্যালে হিঁসে, না খ্যালে হাঁসে।
337। ভাগ্যবানের বোঝা ভগবানে বয়।
338। ভাগ্যবানের মরে জরু, অভাগার মরে গরু।
339। ভাঙা বদনা, ম্যাতরি নাম; হর‌্যা মুকি ম্যাগী লয়, তার সোনমুখি নাম।
340। ভাত অ্যান্দব্যা কলে বউ করে আড়ামোড়া, জল অ্যানব্যা কলে বউ চলে টাউন ঘোড়া।
341। ভাত খাচিন সিলভারের হাতা, খরচা ম্যানষের অত ক্যান কতা।
342। ভাত দিবার ভাতার নাই কিল দিবার ঠাকুর আচে।
343। ভাত দিবার মুরদ নাই, কিলাবার আছে মুরদ।
344। ভাত পায় না চা খায়, সাইকলত চ্যড়্যা হ্যাগব্যা যায়।
345। ভাতারের ভাত খ্যায়া নাঙের পায়ে সিতান।
346। ভাব নাই ভক্তি নাই মালা আটি আটি সংকিরতনে পরে আচে চিরা কোটা ঢিকি।
347। ভায়রা কুটুম, ঘাঁটার কুটুম।
348। ভায়রা, জামাই, ভাগিনা কখনও নয় আপনা।
349। ভালর কাল সর্বকাল মন্দের ভাল আগে।
350। ভালর ভাল সর্বকাল মন্দর হয় দু:খ, তিরভূবনে পর‌্যা বন্ধু পিটের পাছে মুখ।
351। ভিক ম্যাঙ্যা খ্যাই, ঘি ভাত খাই।
352। ভিক্কাত তো বারাসনি, কুত্তার ঠ্যালাও খ্যাসনি।
353। ভিক্কার চাউল আলোই কী আর ড্যামাই কী?।
354। ভিক্ষার ভাত অ্যালনায় কী আর বিষট্যাই কী?।
355। মজলিশের আগে, দরবারের পাছে।
356। মদ-মাগি-জুয়া, যুবকক করে ভুয়া।
357। মরদ দেক্যা কড়ত কাটি, ম্যায়া দেকা ধান বানি।
358। মরদও চিনিছু, ব্যাগাড়ও খাটিছু।
359। মরমোতে করমো না, বাঁচমো তে খামো কি?।
360। মরে না, ঘাঁটাও ছাড়ে না।
361। মশার কামড় সয় না পাও, বান্দীর কতা সয় না গাও।
362। মাও গুণে ছাও হয়।
363। মাও নাই যার, ভাও নাই তার।
364। মাও ম্যলে মাওরা, বাপ ম্যলে বাউর‌্যা, বউ ম্যলে গাওরা।
365। মাগনার আবার অ্যাবন্যাশ কী?।
366। মাছ খ্যালে ইলিশ, নাং করলে পুলিশ।
367। মাছ ধরা যেমন তেমন, খলয় ধরা শক্ত।
368। মাছ বারে সোঁতে, মানুষ বারে ওঁতে।
369। মাছের মা, শাগের ছা।
370। মাথারডাও নিমো গোড়ারডাও হামার।
371। মানি লোকের মান, রাখে ভগবান।
372। মানুষ বাঁজা হয়, মানুষ বাঁজা হয় না।
373। মামা ভ্যাগন্যা যেখানে আপদ নাই সেখানে।
374। মায়ের চেয়ে মারানীর দরদ বেশি।
375। মায়ের দুদ চুষ্যা প্যাট না ভরলে বাপের ধোন চুষ্যা প্যাট ভরে না।
376। মায়ের নজর প্যাটত আর বউয়ের নজর চ্যাঁটত।
377। মায়ের পেটের ভাই, কাঁহা গেলে পাই?।
378। মারনি আলার হাত আটকান যায়, কয়নি আলার মুক আটকান যায় না।
379। মারলু ধরলু, ভালই করলু ভাঙলু হাতের চুড়ি, ভ্যাব্যা চিন্ত্যা দ্যাকরে মিনষ্যা ক্ষতি হল তুরি।
380। মিচ্চানা পকী লয়, আগাডুলিত বাসা।
381। মিষ্টি বেশি হলে পিঁপড়া লাগে।
382। মুখের গুণে মার গলে ঝোলা দিয়া ঝোল পড়ে।
383। মুতপ্যা নাই জাগা, ব্যার বাড়িত দালান।
384। মোচে মরদ, গোছে ধান।
385। মোটা ম্যায়ার হাঁইফাই, চিকন্যা ম্যায়াক দিতেই নাই।
386। ম্যলে হাতীর পায়ের তলে প্যড়া মরা ভাল।
387। ম্যাগীক ভাত দিমো কি দিমো না কিলত বুজিস না?।
388। ম্যাগীর খাতাত নাম লেক্যা আবার মোটা চিকন?।
389। ম্যাগের কুটুম শালা, গলার মোহন মালা, ভোগল মাটির কলা।
390। ম্যায়ার কাম ফ্যায়া।
391। যত গপ্প খোজা করে, হোল থাকলে বোলে সব্বনাশ করে।
392। যদি থাকে বন্ধুর মন, কাছে আসতে কতক্ষণ?।
393। যদি থাকে মনে, থাক না দেশের কোণে।
394। যদি দেকিস কেশবতি, বুজবু ম্যায়া ভাতারখাকি।
395। যদি ধরে দুক্কে জায়গা ল্যায় না জঙ্গলে।
396। যদি পড়ে কহর, তাও ছেড় না শহর।
397। যা করবে কামাই, লিয়া য্যাবে জামাই।
398। যা করে না বইদ্যে, তা করে পথ্যে।
399। যা করে না বনের বাঘে, তা করে মনের বাঘে।
400। যা নাই জাতত, তাক লেয় না পাতত।
401। যাঁই খ্যালে তাস, তার ঘরের চালত ওটে ঘাস।
402। যাঁই লয় হামার, তাক করুক চামাড়।
403। যাঁই লিবে মাতব্বরী, তাঁই দিবে মাতাত বারি।
404। যাক বড় দ্যাকনি তাঁই বড় সুন্দরী, যার হাতে খাওনি তাঁই বড় আন্দোনি।
405। যাকে নিন্দে তাকে পিন্দে।
406। যাচতে ভাত খায় না, চ্যাতে ভাত পায় না।
407। যার কুয়াত তাঁই পড়বে।
408। যার খোলা, তার পিঠা।
409। যার ঘরে নাই বউ তার বড় দু:খ, ঘরে যার আছে বউ তার নাই সুক।
410। যার টান তাঁই টানে, ফকিরের টান ঝোলায় টানে।
411। যার ধর্মে সে পর, ধর্ম গুণে ছাড়খাড়।
412। যার বিয়া তার খোঁজ নাই, পাড়াপরশীর ঘুম নাই।
413। যে গরু গু খায়, সে গরু জোলা বয়াই যায়।
414। যে পাতে খামো না, তাক ম্যাজমোই ক্যা আর ঘুঁসমোই ক্যা?।
415। যে পাতে খ্যাস, সে পাতেই হাগিস?।
416। যে বিয়ার বিয়া, তার আবার চিতর ব্যাজ।
417। যে মুরগী কড়কড়ায়, সে মুরগী আন্ডা পাড়ে না।
418। যেই দ্যাশে যাই সেই ফল খাই।
419। যেদের ভাত খামোনা, চ্যাব্যা ফেল্যা দিমো।
420। য্যাতে আসতে লড়ে হোল, চল্যা গেনু বড়খোল।
421। রতনে রতন চিনে, শুয়রে চিনে কচু; জাহাজের খালাসী চিনে জালমাছ আর কদু।
422। রাগ করবে যাঁই, ভাগ হারাবে তাঁই।
423। রাগে বাল ছিঁড়ে আর জ্বলনে বাঁচে না।
424। রাগের ঘর ফানা।
425। রাজার চেয়ে প্যাদার তোকোম বেশি।
426। লগি ফেল্যা তাক বোঝ।
427। লটি হচে হামার চাচী, হামি আর হামি আছি।
428। লতুন জাগাত বাল গজালে ফুকুর ফুকুর হাসি।
429। লতুন লতুন বৈরাগীর পাঁজা পাঁজা মালা।
430। লাইয়ের সুকে নিদ্রা, চিত্ত সুকে গান।
431। লাও ঠ্যালা দিয়া বিয়ায়ক কয়, আর এ্যানা থাকলেই হয়।
432। লাওত চড়া বড়ই সুক, যদি ঠ্যালে পরের পুত।
433। লিচামা কুত্তার বাঘা নাম।
434। লিপুচি এক ভাতার প্যাছে, হাগা গোয়ায় কোলত লিছে।
435। লেক্যা দিনু কলার পাতে, ঘুর‌্যা ব্যাড়া পথে পথে।
436। ল্যাওয়ার কতা তাড়াতাড়ি, হাত ছ্যাড়্যা পাও ধরি।
437। শক্ত মরদের দক্ষিণ দুয়ার।
438। শত্রুক দ্যাওয়া লাগে বড় পিঁড়া।
439। শরীলের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়।
440। শাওন মাসে ল্যাগ্যা কলা, গুষ্টি শুদ্দা মরল রাবণ শালা।
441। শাগের ছা, মাছের মা।
442। শাগের মধ্যে পুঁই, মাছের মধ্যে রুই, ম্যানষের মধ্যে মুই।
443। শিটক্যা ম্যায়ার ডিবডিবি বেশি।
444। শিয়ালে পাঁতার প্যাছে।
445। শুঁই হয়্যা ঢুক্যা ফাল হয়্যা বারামো।
446। শুতলেই দু’ পা প্যত্যানে।
447। শুনা কতা দুনা, ১ মণ আমের ২০ মণ চুনা।
448। শুন্যা কতার দুনা ভাও।
449। শ্বশুড় বাড়ি মধুর হাঁড়ি, তিন দিন পর ঝাঁটার বারি।
450। শ্যালক ধারাবা গেলে কুত্তাকও হ্যাপস্যান লাগে।
451। সকালের খিরা হীরা আর রাতের খিরা পীড়া।
452। সতীনের খ্যাঁতা দেকলেই আসে গায়ে জ্বর।
453। সত্য বলিতে মানা, মিথ্যা বলিলে গুণা।
454। সব বাগের লড়ালড়ি, বুড়া বাগের গলাত দড়ি।
455। সব মাছ গু খায়, ঘ্যার‌্যা মাছের নাম হয়।
456। সমুখে পাই যতক্ষণ, মন পোড়ায় ততক্ষণ।
457। সলক রাতে চোর ব্যাজার।
458। সস্তার বার বস্তা, আক্রার নাই ফাও।
459। সহ্যের বড় গুণ, ম্যানষে কয় পারল না।
460। সাঁতেই কে ল্যায় আবার কোলত।
461। সাউদের গাওত হয় দাউদ, কুমিনের যায় না আশপাশ।
462। সাউয়া চিনে না ঘ্যাউয়া বাঁড়া।
463। সাত গিতানে বউ লস্ট, শ্যাষ কালে অক্যামল্যার কষ্ট।
464। সাপ হয় মরলে সোজা।
465। সায়-সুই দিয়া বকরি বিয়া লাওয়া।
466। সারা রাত ক্যার ক্যার, সকালে উট্যা দ্যার স্যার।
467। সারা রাত খ্যাট্যাখুট্যা বেটিছ্যল।
468। সুঁই কয় ঝাঁঝরক তোর গোয়া ফুটা ক্যা?।
469। সুখে বসে খেতে পিড়ায়ে তেস মারে।
470। সেই কাপড় ভিজল, জাঁয়ি গোয়া দেকল্য।
471। সেই গাধা খায়, ঘুনল্যা ঘুনল্যা খায়।
472। সোনা যদি চ্যারানা স্যার হয় আর হাতে না থ্যাকলে টাকা।
473। স্বপ্নে দেকনু পবনা বুড়া, হাতে দিয়ে দেকনু কচুর মুড়া।
474। স্যারের উপর সোয়া স্যার আছে।
475। হঠাৎ টাকার মালিক হলে বাপেক কয় শালা।
476। হপে গেনু বান্দিঘরা, অটিও য্যায়া দেকি সাড়ে তিন হাত বাঁড়া।
477। হবসালে হবে ব্যাটা, তার নাম চ্যাঁট কাটা।
478। হরি হে পার কর, হরি কয় হাত পাও লাড়।
479। হা করবার নাই হা মোন্নার বাড়িত, কতা কবার নাই সতীনের বাপের বাড়িত।
480। হাঁটোন দেকলেই বোজা যায়, বউ কোন বাপের বাড়িত যায়।
481। হাগা গোয়ার বিশ্বাস নাই।
482। হাগ্নিআলার লাজ নাই দেখনি আলার লাজ এক কোরা কড়ি দিমু মদ্দে বসে হাগ।
483। হাট আর লাট, হয় ম্যাজ্যা না হয় খাট।
484। হাটত গাই, বনে বাছুর চোঙা আছে শিকার উপুর।
485। হাত ধর‌্যা গ্যালামো কিন্তু নাম কমো না।
486। হাতত নাই টাকা কড়ি, জিয়ে কয় লিকা করি।
487। হামার গোয়া কুমিড়ে মারছে আর উঁই ধরিছে শালুক তুল্যা দে।
488। হামি পামো দেস তো, তুই পাবু লেস তো।
489। হামি মরি মাও মাও কর‌্যা, মাও মরে নাঙ নাঙ ক্যর‌্যা।
490। হামি যার খাই তাঁই হামার, আর হামার যাঁই খায়, তাঁই চামাড়।
491। হামি লিয়া আনু চ্যায়া, উঁই অ্যালচে ম্যাঙব্যা।
492। হামিও ফকির হনু, দ্যাশতো আকাল ল্যাগল।
493। হাল নাই বয় বেশি, বউ নাই করে বেশি।
494। হাল বওবা পারবু না, য্যায়্যা পাঁউস ঢওয়া; দ্যাক শুক কোনটে আছে।
495। হালের গাভী, বাড়ির মাগী জিংক্যা চালাবে শিংক্যা চলবে।
496। হুপ উটলে বাইশ বিঘা আন্দার।
497। হুপ বেশি, শরীর দুর্বল।
498। হোকোম তোকোম সার, তিন কাঁঠালের এক ভার।
499। হ্যাঁসা হ্যাঁস্যা কই কতা, কপাল ছ্যাড়া ধরবে মাতা।
500। হ্যাগ্যা ছোঁচে না, প্যাদ্যা ডুব দ্যায়।
501। হ্যাতারে করে কাম, মরদের হয় নাম।
502। হ্যাত্যার লিয়া মোর ব্যা হাতি, কি করমো তোর সদা-পাতি।
503। হ্যালার রাগ প্যান্টির আগাত।
504। হ্যাল্যার ধ্যরো না হাল, পোয়াতির ধ্যরো না ছ্যল।

No comments:

Post a Comment

স্বাগতম

বহু পরিশ্রমের ফসল এই ব্লগ শুধু আপনাদেরকে আনন্দ দেয়ার জন্য। আপনি আনন্দ পেলেই আমার পরিশ্রম সার্থক বলে মনে করব।

এই ব্লগকে আরও সমৃদ্ধ করতে যেকেউ আমাকে প্রবাদ বাক্য সরবরাহ করলে তা আপনার নাম সহ এই ব্লগে প্রকাশ করা হবে। আপনাদের সহযোগিতা কাম্য।

ধন্যবাদ।